প্রতীকী ছবি
দাওয়াই-ই দিতে হল। তবে নরমে গরমে!
প্রথমে মৌখিক ভাবে অনুরোধ। তারপর হাতজোড়। তাতেও যখন কাজ হল না, তখন স্রেফ লাঠিপেটা। লকডাউন নিয়ে নির্দেশ পালনে পুলিশের উদ্যোগ কিন্তু উত্তরবঙ্গের প্রায় সর্বত্রই দেখা গেল। যা কোচবিহার হোক, কিংবা আলিপুরদুয়ার বা জলপাইগুড়ি।
সোমবার বিকেল ৫টায় কলকাতা সমেত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের নানা এলাকাতেও লকডাউন শুরু হয়ে যায়। আলিপুরদুয়ার জেলার একাধিক ব্লক স্থানীয় ভাবে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়। যে জেলার প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভুটানে সম্প্রতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক মার্কিন নাগরিকের সন্ধানও মেলে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে আলিপুরদুয়ার জেলায় ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। যেখানে প্রতিদিনই কেউ না কেউ ভর্তি হচ্ছেন। ফালাকাটার বিডিও সুপ্রতীক মজুমদার বলেন, ‘‘জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে ২৭ মার্চ পর্যন্ত ফালাকাটা শহরকেও লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রীকান্ত জগনাথারাও ইলওয়াডের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী শহরে টহল দেয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান ছাড়া যে সব দোকান খোলা হয়েছিল সব দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে রাস্তার মাঝে জটলা করে থাকা শহরবাসীদের দিকে তেড়ে যায় লাঠিধারী পুলিশ বাহিনী। দিন বাজার, ডিবিসি রোড, সমাজ পাড়ার রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা যুবককে লাঠি চালানো হয় বলে অভিযোগ। শহরে৷ নামানো হয়েছিল কমব্যাট ফোর্সও। আর যার জেরে সন্ধা নামতেই সুনশান গোটা জলপাইগুড়ি শহর।
কোচবিহারও পিছিয়ে নেই। কারণ বিকাল পাঁচটা বাজতে না বাজতেই রাজার শহরের চিত্র একেবারেই পাল্টে যায়। রাস্তায় নেমে হাল ধরে সেই পুলিশই। সকালে সেই পুলিশকর্মীরাই করোনা মোকাবিলায় শহরজুড়ে লিফলেট বিলি করেছিল। বিকেলে সেই নির্দেশ অমান্য করতেই কোচবিহার শহরে অনেককেই ধমক দিতে দেখা যায় পুলিশকে।
কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়াল বলেন, ‘‘সবার কাছে আবেদন, সমাজের স্বার্থে সকলে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা মেনে চলুন।’’ তবে আলিপুরদুয়ারে সোশ্যাল মিডিয়ায় শহরবাসীর অনেকেই পুলিশকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন নিয়মভঙ্গকারীদের লাঠিপেটা করার জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy