প্রতীকী ছবি
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে এক রোগীর মৃত্যু হল শনিবার মাঝ রাতে। কিন্তু আইসোলেশনে থাকা ফলে ওই রোগীর দেহ নিয়ে অন্ত্যেষ্টিতে লেগে গেল বহুক্ষণ। এমনকি, স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশও এক সময়ে বেঁকে বসে। শেষে সন্ধ্যা সাতটার পরে যাবতীয় ব্যবস্থা হলেও গাড়ি না পাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়। সব মিটতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫৩ বছরের ওই ব্যক্তি শিলিগুড়ির ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে নিউ কলোনির বাসিন্দা। কাজ করতেন রেলে। ছিলেন রেলের ডিজেল শেডের কর্মী (টেকনিশিয়ান)।পরিবার এবং স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি সুগারের রোগী ছিলেন। ২৪ মার্চ অসুস্থ বোধ করলে তাঁকে এনজেপি রেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বহির্বিভাগে চিকিৎসা করা হচ্ছিল। ২৫ মার্চ শারীরিক অবস্থার আবনতি হলে ফের এনজেপি রেল হাসপাতালে এবং সেখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল লাগোয়া একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জ্বর, শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হয়। পরদিন ২৬ মার্চ তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হলে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাতে রেসপিরেটরি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়। সে সময় তার সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হলেও কিছু মেলেনি।
যে ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই ব্যাক্তি সেই ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রিতা ওরাওঁ জানান, বাড়িতে ওই ব্যক্তির স্ত্রী এবং তিন ছেলে রয়েছে। সকলেই প্রাপ্তবয়স্ক। তাঁরা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেছেন। চিকিৎসার জন্য ওই ব্যক্তিও বাইরে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আইসোলেশন থেকে দেহ বার করতে আত্মীয়দের সারা দিন লেগে গিয়েছে। শেষে রাত আটটার কিছু পরে সব ব্যবস্থা করে তাঁরা দেহ সাহুডাঙ্গি শ্মশানে নিয়ে যান। হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের তরফে এই নিয়ে সরকারি ভাবে কিছু বলতে চাওয়া হয়নি।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy