প্রতীকী ছবি
করোনা মোকবিলা করতে জেলায় জেলায় আলাদা হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।কিন্তু পরিকাঠামো এবং প্রযোজনীয় সরঞ্জামের অভাবের অভিযোগও উঠছে।জলপাইগুড়িতেও সেই অভিযোগ উঠেছে। পর্যাপ্ত মাস্ক, পিপিই, ভেন্টিলেটর নেই বলে অভিযোগ উঠেছে।জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে মাত্র ৪টি ভেন্টিলেটর রয়েছে। শহরের দু'টি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভেন্টিলেটর রয়েছে ২টি করে।
জেলায় এন ৯৫ মাস্কের ঘাটতি হয়েছে বলেও অভিযোগ।এই মুহূর্তে জেলায় রয়েছে মাত্র ৭৯টি। থার্মাল স্ক্রিনিং করার থার্মোমিটার মাত্র ৫টি রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরেরই একটি অংশ জানাচ্ছে, জেলায় পিপিই-এর ঘাটতি রয়েছে।যেগুলি রয়েছে তা রেনকোট দিয়ে তৈরি বলে ওই সূত্রের দাবি।
এদিকে জেলার করোনা হাসপাতাল হিসেবে জলপাইগুড়ি শহরের রাজবাড়ি পাড়ার একটি নার্সিংহোমকে অধিগ্রহণ করল জেলা প্রশাসন। প্রথমে বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনকে সরকারি কোয়রান্টিন এবং সেটি লাগোয়া এই নার্সিংহোমে আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করতে উদ্যোগী হয়েছিল জেলা প্রশাসন। পরে বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনে করোনা হাসপাতাল গড়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে সব পরিকাঠামো গড়ে তোলা যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ। তাই লাগোয়া নার্সিংহোম বেছে নেওয়া হয়েছে। বুধবার সকালে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা প্রশাসনের তরফে এই নার্সিংহোম পরিদর্শন করা হয়েছে। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক তিওয়ারি জানান, আপাতত ওই নার্সিংহোমেই জেলা করোনা হাসপাতাল গড়া হচ্ছে।
এই নার্সিংহোমে ৭০ শয্যা রয়েছে। এছাড়াও ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটও আছে। সেখানে ২ টি ভেন্টিলেটরও রয়েছে ।প্রয়োজনে জেলা স্বাস্থ্য দফতর আরও ভেন্টিলেটর বসানোর ব্যবস্থা করবে। জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমেন্দ্রনাথ প্রামানিক বলেন, “আপাতত আমরা জেলা করোনা হাসপাতাল হিসেবে ওই নার্সিংহোমকেই অধিগ্রহণ করার সুযোগ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়াও সার্বিক পরিস্থিতির প্রতি নজর রাখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy