প্রতীকী ছবি
মালদহ জেলায় একই সঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হলেন আরও সাত জন। শুক্রবার রাতে চার জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। শনিবার দুপুরে বাকি রিপোর্ট এসে পৌঁছনোর পর তাতে আরও তিন জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। তাঁরা প্রত্যেকেই হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের বাসিন্দা। গত বুধবার সকলেই অজমের থেকে ফিরেছিলেন।
আক্রান্তদের মধ্যে দু’জন রানিপুরা, এক জন মানকিবাড়ি ও চার জন ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা। একইসঙ্গে সাত জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় গোটা হরিশ্চন্দ্রপুর তো বটেই, জেলা জুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। আক্রান্তদের কারও করোনার উপসর্গ ছিল না। ফলে অজমের থেকে ফেরার পরে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পরে তাঁদের হোম কোয়রান্টিনে থাকার কথা বলা হলেও, বাড়ি ফিরে তাঁদের কয়েক জন বাজারে গিয়েছেন, প্রতিবেশীদের সংস্পর্শে এসেছেন বলে স্বাস্থ্য দফতর জানতে পেরেছে। এতে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা থাকছে বলে প্রশাসনের পাশাপাশি উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতরও। পরিস্থিতি আঁচ করে দুপুরেই আক্রান্তদের এলাকা পরিদর্শনে যান জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া।
গোষ্ঠী সংক্রমণ এড়াতে তিনটি এলাকাকে ‘কন্টেনমেন্ট জোন’ করে সেগুলি ‘সিল’ করে দেওয়া হয়েছে। এলাকার কেউ যাতে বাইরে না যান এবং বাইরের কেউ না ঢোকেন, সে জন্য যাতায়াতের পথে ব্যারিকেড দিয়ে সিভিককর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। ‘কন্টেনমেন্ট জোনের’ বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী পুলিশকর্মীরাই পৌঁছে দেবেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর।
মালদহের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী জানান, জেলায় সাত জনের নতুন করে করোনা ধরা পড়েছে। প্রত্যেককেই নারায়ণপুরে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।প্রশাসনিক ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে রানিপুরা এলাকার মা ও মেয়ে রয়েছেন।
তাঁদের এক জন স্থানীয় বাজারেও গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এ ছাড়া অধিকাংশেরই বাড়িতে একটি বা দু’টি ঘর। ফলে তাঁরা সবার সঙ্গেই ছিলেন। তাঁরা কাদের সংস্পর্শে এসেছেন তা খুঁজছে পুলিশ। এর মধ্যে ৩০ জনকে শনাক্তও করা হয়েছে।
কয়েক দিন পরে তাঁদেরও লালারস পরীক্ষা করা হবে। এ ছাড়া আক্রান্তরা যে বাসে ফিরেছিলেন তার তালিকা দেখেও সহযাত্রীদের শনাক্তকরণ করা শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy