নেই মুখোশ। ফাইল ছবি।
স্বাস্হ্য দফতরের নির্দেশ ভেঙে গৃহ-নিভৃতবাস ছেড়ে বাজারে আসার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার বালুরঘাট শহরে বুড়াকালীবাড়ি ও বাজারপাড়া এলাকায়।
শহরের তহবাজার থেকেও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কার কথা বলেছে স্বাস্হ্য দফতর। সেই পরিস্থিতিতেও এ দিন গৃহ-নিভৃতবাস ছেড়ে এক আলু-পেঁয়াজের আড়ত ব্যবসায়ী দোকান করতে দেখা যায় বলে অভিযোগ। তাঁর বাড়ির লোক দুদিন আগে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। একই বাড়িতে থাকা ওই আড়ত ব্যবসায়ীকে গৃহ-নিভৃতবাসে থাকতে বলা হয়েছিল।
তহবাজারের পাশে বুড়াকালী মন্দির এলাকার একটি বস্ত্র-বিপণির মালিকপক্ষের পরিবারের দুজন শনিবার করোনায় আক্রান্ত হন। রবিবার সকালে পুরসভার স্বাস্হ্যকর্মীরা ওই ব্যবসায়ীর বাড়ির সামনে পোস্টার লাগিয়ে দিয়ে আসেন। এ দিন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ অভিযোগ করেন, বাড়ির দেওয়ালে লাগানো ওই পোস্টার ছিঁড়ে গৃহ-নিভৃতবাসের নিয়ম অগ্রাহ্য করে সংক্রমিতরা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এ দিকে, এ দিন মালদহের ভিআরডিএলল ল্যাবের রিপোর্ট থেকে এ জেলার ৪২ জন এবং জেলায় অ্যান্টিজেন কিটের পরীক্ষায় আরও ১৮ জন মিলিয়ে ৬০ জন নতুন করে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে বালুরঘাট শহরে সংক্রমিতের সংখ্যা ১৮।
জেলার মুখ্য স্বাস্হ্য আধিকারিক সুকুমার দে জানান, কোভিড নিয়মের লঙ্ঘন হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্হা গ্রহণ করা হতে পারে।
অন্য দিকে, মালদহ জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিকচক ব্লকের হীরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার রাতে মালদহ জেলায় নতুন করে যে ৫০ জনের লালারসের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে তার মধ্যে ওই প্রধানও রয়েছেন। হীরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩ জনের লালারসের রিপোর্ট শনিবার পজ়িটিভ আসে।
আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার পেরিয়ে গেলেও মালদহ জেলার সদর শহরের বাজারগুলিতে তার কোনও প্রভাব পড়ছে না বলে অভিযোগ। অভিযোগ, রবিবার সকাল থেকেই বাজারগুলিতে ভিড় উপচে পড়ে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, " মালদহের বাজারগুলি এখন উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে সামাজিক দূরত্ববিধি মানা হচ্ছে না। অসংখ্য মানুষ মাস্ক ছাড়া বাজারে আসছেন। এখনও যদি বাসিন্দারা সচেতন না হন তবে সমস্যা আরও বাড়বে।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy