যেন উৎসব: রবিবার আলিপুরদুয়ারে। ছবি: নারায়ণ দে
যেন অকাল দীপাবলি!
কিন্তু আলো-হুল্লোড়-বাজির দাপটে এই দীপাবলি আসল দীপাবলিকেও হারিয়ে দিল।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ভিডিয়ো বার্তায় দেশবাসীকে রবিবার রাত ৯টা থেকে ৯’টা ৯ মিনিট পর্যন্ত বাড়ির আলো নিভিয়ে বারান্দা বা ব্যালকনিতে মোমবাতি, প্রদীপ অথবা মোবাইলের ফ্লাশ লাইট জ্বালানোর কথা বলেছিলেন। কিন্তু তাঁর এই ‘অকাল দীপাবলি’র বার্তা যেন আরও অনেক জায়গার সঙ্গেই উত্তরের আলিপুরদুয়ারে ‘ঘরবন্দি’ মানুষের অনেকের কাছেও একটা শক্তি জুগিয়েছিল। আর রবিবার সেই মাহেন্দ্রক্ষণে উলুধ্বনির সঙ্গে মোমবাতি জ্বলে ওঠার পাশাপাশি আকাশে উড়ে যাওয়া ফানুস কিংবা চারিদিকে নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানো যেন সেই শক্তিরই বহিঃপ্রকাশ।
রবিবার রাতের এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ আলিপুরদুয়ার জেলার পরিবেশকর্মীদের একাংশ। তাঁদের কথায়, ‘‘খোদ প্রধানমন্ত্রী একটা বার্তা দিয়েছেন। ফলে সেই সুযোগকে তো দিনের পর দিন ঘরবন্দি বাসিন্দারা কাজে লাগাবেনই। রবিবার রাত ৯টার আগেই যেন তাঁর প্রতিফলন দেখা গেল আলিপুরদুয়ার শহরে।’’
লকডাউনকে উপেক্ষা করে রাত প্রায় সাড়ে ৮টা থেকেই শহরের অনেক জায়গায় রাস্তার দখল নিয়ে নেয় জনতা। ৯টা বাজতেই শুরু হয়ে যায় উলুধ্বনি। সেই সঙ্গে বাড়িতে বাড়িতে জ্বলে ওঠে মোমবাতি ও প্রদীপ। অনেককে মোটরবাইকে চেপে মোবাইলের ফ্লাশ জ্বালিয়ে ঘুরে বেড়াতেও দেখা গেল।
গোল বাধল মাহেন্দ্রক্ষণের দু’-তিন মিনিটের মধ্যেই। শহরের একাধিক জায়গায় শুরু হল শব্দবাজির দাপট। আকাশে দেখা মিলল ফানুসের। শহরতলি কিংবা গ্রামাঞ্চলের অবস্থা কিন্তু আরও একটু অন্যরকম ছিল। অভিযোগ, আলিপুরদুয়ার জেলার প্রত্যন্ত এলাকার অনেক দোকানেই এ দিন দেদার শব্দবাজি বিক্রি হয়েছে। ঘড়ির কাটা রাত ৯টা ছোঁয়ার আগেই সে সব ফাটতে শুরু করে।
অভিযোগ, শব্দবাজি ফাটানো রুখতে প্রায় কোথাওই পুলিশ বা প্রশাসনের নজরদারি ছিল না। ফলে অনেক জায়গায় অবাধে রাত পর্যন্তও শব্দবাজি ফেটেছে। জেলার এক পুলিশ কর্তার বলেন, ‘‘কে কোথায়, কী বাজি ফাটাচ্ছে তা দেখার ঠিকা নিয়ে পুলিশ বসে নেই। কারও সমস্যা হলে যেন লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy