ফাইল চিত্র
আন্তর্জাতিক সীমান্তের মতোই বন্ধ রয়েছে আন্তঃরাজ্য সীমানা। অভিযোগ, তার পরেও ভিন্ রাজ্য থেকে জেলায় অবাধে ঢুকছে পরিযায়ী শ্রমিকেরা। আর এই পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়েই বিপাকে পড়েছেন মালদহের পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা। মঙ্গলবার মালদহের গাজল এবং কালিয়াচকে ভিন্ রাজ্যের শ্রমিকদের আটকে থার্মাল স্ক্রিনিং করে পুলিশ। একই সঙ্গে এলাকার স্কুল, নির্মীয়মান বাজারে ওই শ্রমিকদের রেখে খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
তবে সীমানা বন্ধ থাকা সত্বেও পরিযায়ী শ্রমিকেরা জেলায় কী ভাবে ঢুকছে তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। মালদহের এক পুলিশকর্তা বলেন, “জেলার বিহার এবং ঝাড়খণ্ড সীমানা বন্ধ রয়েছে। তবে প্রতিবেশী মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুরের সীমানা দিয়ে ছোট গাড়ি কিংবা পায়ে হেঁটে রাজ্য ঢুকে পড়ছে।” এমন অবস্থায় সীমানাগুলিতে আরও সক্রিয় ভাবে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “সীমানাগুলিতে আমাদের নাকা চেকিং চলছে। এ ছাড়া যে সমস্ত শ্রমিক ভিন্ রাজ্য থেকে জেলায় ঢুকে পড়েছেন তাঁরা যাতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে না যায় তার চেষ্টা করা হচ্ছে। এলাকার নির্দিষ্ট স্থানে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ গাজলের ময়না এলাকায় উত্তর দিনাজপুর থেকে হেঁটে আসা শতাধিক শ্রমিককে আটকায় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, শ্রমিকেরা রাজস্থান থেকে আসছেন। তাঁদের কারও বাড়ি কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগর এলাকায়। এ ছাড়া কেউ কেউ ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। রাজস্থানে রাস্তা নির্মাণের কাজে গিয়েছিলেন তাঁরা। এ দিন সমস্ত শ্রমিকদের থার্মাল স্ক্রিনিং করেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। তারপরে তাঁদের গাজলের হাজি নাকু হাইস্কুলে থাকার ব্যবস্থা করেন প্রশাসনের কর্তারা। ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘শ্রমিকদের থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’
কালিয়াচকেও শতাধিক শ্রমিককে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থেকে হেঁটে আসতে দেখে পথ আটকায় পুলিশ। তাঁদের থার্মাল স্ক্রিনিং করার পরে কালিয়াচকে নবনির্মিত একটি বাজারে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ইসলামপুর, ডালখোলার বাসিন্দা ওই শ্রমিকেরা।
প্রশ্ন উঠছে, সীমানা ‘সিল’ রয়েছে তার পরেও শ’য়ে শ’য়ে শ্রমিক জেলায় ঢুকছে কী ভাবে? বৈষ্ণবনগরের বাসিন্দা তপন দাস বলেন, “রাজস্থানে রাস্তা নির্মাণের কাজে গিয়েছিলাম। লকডাউন হতেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। রাজস্থানে কিছু দিন থাকার পরে ঠিকাদারেরা বাস ভাড়া করে পাঠিয়ে দেন। রাজস্থান থেকে বিহারের পুর্নিয়া হয়ে ডালখোলায় পৌঁছা়ই।” পুলিশ কোথাও আটকায়নি? তিনি বলেন, “ডালখোলায় পুলিশ পাঁচ ঘণ্টা আটকে রেখে খাবারের ব্যবস্থা করে। তার পরে ছেড়ে দেয়। সেখান থেকে কিছুক্ষণ বাসে আসার পর ইটাহার থেকে হেঁটে গাজলে আসলে ফের পুলিশ আটকে দেয়।” তাঁর মতোই অসহায় হয়ে পড়েছেন শ’য়ে শ’য়ে শ্রমিক। তাঁদের দাবি, “জেলায় ফিরতে না দিলে যে কোনও এক এলাকাতেই আমাদের কোয়রান্টিন করে রাখা হোক।”
অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy