প্রতীকী ছবি
এ যেন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপে কারাবাস। অন্তত তেমনই অনুভূতি দিল্লির কাছে আটকে পড়া কোচবিহারের কয়েকজন শ্রমিকের।
লকডাউনের দশ দিন পার হয়ে গেল। তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারেননি। কিন্তু কেউই তাঁদের সহায়তার জন্য খোঁজ নিচ্ছেন না বলে তাঁরা কিছুটা হতাশ। ভাড়া নেওয়া ঘরে চুপ করে বসে সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে কোচবিহারের জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা কয়েক দফায় বিভিন্ন রাজ্য আটকে পড়া শ্রমিকদের বিষয়ে খোঁজখবর করেছেন। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলেছেন। তার পরেও কেন তাঁদের সাহায্য মিলছে না, তা নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন নুর ইসলাম, আয়ুব আলি, ফিরদৌস রহমানেরা।
নুর জানিয়েছেন, তাঁরা গুরগাঁওয়ে থাকেন। সেখানে কেউ কেউ বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। কেউ কেউ ঝুপড়িতে বসবাস করেন। তিনি বলেন, “অনেকদিন হল কাজ বন্ধ রয়েছে। যা জমানো টাকা ছিল, তা প্রায় শেষ। থানায় গিয়েছিলাম আমরা কয়েকজন মিলে। শুধু নাম লিখে রেখেছিলাম। আর কিছু হয়নি।” আয়ুব, ফিরদৌসরা থাকেন নয়ডায়। তাঁদেরও একই অবস্থা। ফিরদৌস বলেন, “সবাই পরিবার নিয়ে আছি। বাড়ি ফিরতে পারলাম না। এখানে কেউ খোঁজ নিচ্ছে না। কী হবে কে জানে।”
কোচবিহার জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ভিন রাজ্যে কোচবিহারের প্রায় ছয় হাজার বাসিন্দা রয়েছেন। তাঁদের বিষয়ে প্রত্যেকটি রাজ্যের জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান। সারা ভারত যুবলিগের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ দাবি করেন, উত্তরবঙ্গের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ ভিন রাজ্যে রয়েছেন। তিনি বলেন, “সামান্য কিছু জায়গায় ত্রাণ দিচ্ছে সরকার। বাকি কোথাও দিচ্ছে না। এমনটা ঠিক নয়। ওই গরিব মানুষদের পাশে এই সময় প্রত্যেক রাজ্যের প্রশাসনের থাকা উচিত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy