পাড়ি: নিউ কোচবিহার রেলস্টেশনে কলকাতার ট্রেন ধরতে জেলার ক্যারাটে প্রতিযোগিতা। নিজস্ব চিত্র
‘ওঁরা’ কেউ প্রাক্তনী। কেউ আবার বর্তমান আবাসিক। সকলের ক্যারাটে শেখার হাতেখড়ি চার দেওয়ালের ঘেরাটোপেই। কিন্তু স্বপ্নপূরণের পথে আরও একধাপ এগোতেই কলকাতা পাড়ি দিল কোচবিহার শহীদ বন্দনা হোমের প্রাক্তন ও বর্তমান আবাসিক ৮ কন্যা।
বৃহস্পতিবার কোচবিহার থেকে ৯২ জন প্রতিযোগীর দল তিস্তা-তোর্সা ও পদাতিক এক্সপ্রেসে আন্তর্জাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়। ২৮-২৯ জুলাই কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে ওই প্রতিযোগিতা হবে। একাধিক দেশের তিন হাজারের বেশি প্রতিযোগী অংশ নেবে। কোচবিহারের দলটি প্রায় দুশোটি ইভেন্টে নামবে। কোচবিহার ক্যারাটে ডু অ্যাসোসিয়েশন ও হোম সূত্রে খবর, প্রতিযোগীদের মধ্যে আছেন শহীদ বন্দনা হোমের বর্তমান আবাসিক মধুলেখা বর্মন, সোনালিকা সূত্রধর, তাপসী রায়, সঙ্গীতা সরকার। এঁদের সকলের বাড়িই কোচবিহার জেলার বিভিন্ন এলাকায়। মূলত আর্থিক কারণের জন্যই তারা সমাজকল্যাণ দফতরের আওতাধীন অনুর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সীদের ওই হোমে রয়েছে। স্থানীয় একটি স্কুলে তারা পড়ছেও। আর হোমের প্রাক্তনীদের মধ্যে রয়েছে পূজা বিশ্বাস, সুস্মিতা চৌহান, সুপ্রিয়া চৌধুরী, সোমালিকা গুহরায়। ভীষণ আত্মবিশ্বাসী সবাই।
হোমের প্রাক্তনী পূজা বিশ্বাসের কথায়, “ ক্লাস টু থেকে টেন পর্যন্ত হোমে ছিলাম। ওখানেই ক্যারাটে শেখার হাতেখড়ি। কিছুদিন আগে দিল্লিতে একটি জাতীয় প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ পেয়েছিলাম। এবার লক্ষ্য সোনা জেতা।” আত্মবিশ্বাস মধুমিতার কথাতেও। ‘‘হোমেই দুই বছর ধরে ক্যারাটে শিখছি। ভাল লাগে। পদক পাব বলেই আশাকরছি।” এমনটাই বলেন তিনি।
আশায় প্রশাসনের কর্তারাও। কোচবিহারের জেলাশাসক কৌশিক সাহা বলেন, “মেয়েদের সবদিক দিয়ে পারদর্শী করতে ক্যারাটে শেখান হয়। প্রতিযোগিতায় ওরা সফল হবে বলে আশা করছি।” জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক শুভেন্দু শেখর মন্ডল জানান, ওদের সাফল্য দেখতে উদগ্রীব হয়ে আছি। জেলা ক্যারাটে ডু অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রাকেশ সরকারও সকলকেই যথেষ্ট এবং দক্ষ, পারদর্শী বলেই উল্লেখ করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy