হাতে: শতাব্দী প্রাচীন এই পদ্ধতিতেই তোলা হয় দু’টি পাতা একটি কুঁড়ি।
• উত্তরবঙ্গে কত ক্ষুদ্র চা চাষি আছেন?
টি বোর্ড সমস্ত ক্ষুদ্র চাষিকে এখনও চিহ্নিত করে উঠতে পারেনি। তবে বিভিন্ন সংগঠনের তথ্য অনুসারে এই সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি। টি বোর্ড এখন পর্যন্ত চিহ্নিত করেছে প্রায় ৩৪ হাজার চাষিকে।
• উত্তরবঙ্গের কোন কোন জেলায় ক্ষুদ্র চা বাগান আছে?
কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কালিম্পং ও উত্তর দিনাজপুর— এই ছয় জেলাতেই কম-বেশি ছোট চা বাগান আছে। জলপাইগুড়ি জেলাতেই সব থেকে বেশি ক্ষুদ্র চা চাষি আছেন (প্রায় ২৫ হাজার)।
• উত্তরবঙ্গে চায়ের উৎপাদনে ক্ষুদ্র চাষিদের ভূমিকা কতটা?
টি বোর্ডের তথ্য বলছে উত্তরবঙ্গে চায়ের বার্ষিক গড় উৎপাদন ৩৮ কোটি কেজি। যার মধ্যে ক্ষুদ্র চা বাগানের উৎপাদন ২১ কোটি কেজি। অর্থাৎ, মোট চা উৎপাদনের ৫৬% ক্ষুদ্র চা বাগানগুলির দখলে।
• তা হলে ক্ষুদ্র চাষিরা কেন মেশিন ব্যবহার করছেন?
চাষিদের একাংশের বক্তব্য, হাতে তোলার চাইতে মেশিনে পাতা তোলার খরচ অর্ধেকেরও কম। হাতে পাতা তুলতে কেজি প্রতি খরচ প্রায় ৭ টাকা। সেখানে মেশিনে কেজি প্রতি খরচের পরিমাণ ৩ টাকা। মেশিনে কম সময়ে অনেক বেশি পাতা তোলা যায়। শ্রমিকও অনেক কম লাগে।
• কত শতাংশ ক্ষুদ্র চাষি মেশিন ব্যবহার করেন?
কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং টি বোর্ডের তথ্য বলছে, উত্তরবঙ্গে প্রায় ৯০% চাষি মেশিন ব্যবহার করে চা পাতা তুলছে।
• টি বোর্ড ঘোষিত কাঁচা চা পাতার প্রতি কেজির ন্যূনতম দাম কত?
সেপ্টেম্বর—
কোচবিহার: ১৩.০১ টাকা
জলপাইগুড়ি: ১৩.৬৫ টাকা
দার্জিলিং (সমতল): ১২.৮৯ টাকা
উত্তর দিনাজপুর: ১২.৪৮ টাকা
• কত পাচ্ছেন চাষিরা?
কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশেনর কর্তাদের দাবি, কেজি প্রতি গড়ে ১০ টাকা করে দাম পাচ্ছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy