Advertisement
০৮ মে ২০২৪

গাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র

শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার নীরজ কুমার সিংহ বলেন, ‘‘গাড়িটি সিকিমের। তাতে রাজ্য বিরোধী পোস্টার, আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। সমতলের কোনও গোলমালের জন্য ধৃতেরা এসেছিল কি না, তা দেখা হচ্ছে।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:১৭
Share: Save:

পুলিশের তল্লাশি চলছে। টর্চের আলো দেখিয়ে একের পর এক গাড়ি দাঁড় করাচ্ছিলেন অফিসারেরা। এর মধ্যে দ্রুত গতিতে একটি সিকিম নম্বরের ছোট গাড়ির চালক পুলিশকর্মীদের পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাড়া করে শেষ পর্যন্ত এশিয়ান হাইওয়ের ব্যারিকেডের কাছে গাড়িটি ধরা হয়।

গাড়ির সামনে থেকে রাজ্য বিরোধী পোস্টার উদ্ধার হয়। তা দেখেই সন্দেহ বাড়তেই তল্লাশিতে নেমে গাড়ির ‘ডিকি’ থেকে একটি পিস্তল এবং দু’রাউন্ড তাজা কার্তুজও উদ্ধার করে পুলিশ। চালক-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’জনই সিকিমের বাসিন্দা। শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ বাগডোগরা থানার গোঁসাইপুর এলাকার ঘটনা।

শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার নীরজ কুমার সিংহ বলেন, ‘‘গাড়িটি সিকিমের। তাতে রাজ্য বিরোধী পোস্টার, আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। সমতলের কোনও গোলমালের জন্য ধৃতেরা এসেছিল কি না, তা দেখা হচ্ছে।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, গ্যাংটক থেকে মেল্লি হয়ে গাড়ি পানিঘাটার দিকে যাচ্ছিল। গাড়ির মালিকও সিকিমের বাসিন্দা এক চিকিৎসক বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের নাম দীপেশ লিম্বু এবং প্রভাত ছেত্রী। দীপেশ নিজেকে গ্যাংটকের বাসিন্দা এবং সোমবারিয়ায় বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন। তাদের টানা জেরা শুরু করেছেন বাগডোগরা থানার ওসি দীপাঞ্জন দাস। সম্ভবত পানিঘাটা এলাকার কারও কাছে আগ্নেয়াস্ত্র দিতে যাচ্ছিল বলে পুলিশের অনুমান। সমতলেও ধৃতদের কোনও আত্মীয়স্বজন বা বাড়ি রয়েছে বলে পুলিশের সন্দেহ। সেই সঙ্গে ধৃতদের সঙ্গে তরাই এলাকার কোনও নেতানেত্রীর যোগাযোগের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে।

এ দিন, দুপুরের পর থেকে কালিম্পঙের দিকে বিভিন্ন গাড়িতে রাজ্য বিরোধী পোস্টার সাঁটেন গুরুঙ্গ অনুগামীরা। সেই রকম পোস্টারই গাড়িটি থেকে মিলেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Explosives Recovered
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE