প্রতীকী ছবি
বিপ্লব মিত্রের হাত ধরে দলে ফিরলেন জেলা পরিষদের চার সদস্য। বিপ্লবের সঙ্গে তাঁরা এক বছর আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সোমবার তাঁরা দলে ফিরে আসায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ফের ফিরে পেল তৃণমূল।
লোকসভা নির্বাচনের পরে তৃণমূল ছেড়ে বিপ্লবের সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য মফিজুদ্দিন মিঞা, শঙ্কর সরকার, চিন্তামণি বিহা ও প্রতিভা মণ্ডল। মাঝে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজ বিজেপি ছেড়ে নির্দল হিসেবে ছিলেন। বাকিরা বিজেপি থেকে ‘দূরত্ব’ বজায় রেখে চলছিলেন। তবে বিপ্লবের তৃণমূলে যোগদানের সময় কলকাতায় উপস্থিত ছিলেন শঙ্কর। এ দিন তাঁরা চার জন ফেরে তৃণমূলে ফেরায় জেলা পরিষদের ১৮ জন সদস্যই ফের শাসকদলের হলেন।
তৃণমূল সূত্রে খবর, বিপ্লবের সঙ্গে ওই সদস্যরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে তাঁদের অধীনে থাকা দফতরগুলির কাজ ব্যাহত হয়। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন মফিজ, কৃষি ও সেচ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ শঙ্কর এবং প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন চিন্তামণি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে ওই তিন দফতর থেকে এদের সরিয়ে দেওয়া হয়। গুরুত্বপূর্ণ ওই তিনটি দফতরের স্থায়ী কোনও সমিতিও ছিল না। এতে উন্নয়নের কাজ ব্যহত হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। এ দিন তাঁদের তৃণমূলে যোগদানের সময় সেই প্রশ্নও ওঠে।
দলের জেলা সভাপতি গৌতম দাস বলেন, "যে সব সদস্য বিজেপিতে গিয়েছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই আবার ফিরে এলেন। জেলা পরিষদ এখন নিরঙ্কুশভাবে আমাদের দখলে এল। স্থায়ী সমিতি, কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন দ্রুত করা হবে।’’
তবে দলের অন্দরমহলের খবর, বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব স্থায়ী সমিতি গঠন করতে খুব একটা উৎসাহী নয়। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, "নির্বাচন মিটলে এ সব নিয়ে ভাবা যাবে।"
এ দিকে এ দিন ওই সদস্যরা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন ব্লকের
শতাধিক নেতাকর্মী দলে যোগদান করেন বলে তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন। যোগদান অনুষ্ঠানে জেলা সভাপতি গৌতম, বিপ্লব ছাড়াও দলের জেলা চেয়ারম্যান শঙ্কর চক্রবর্তী, জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রতুল মৈত্র উপস্থিত ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy