Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ

স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের অনেকেরই আশঙ্কা, কোচবিহারে ওই সংখ্যা আরও অনেকটাই বাড়বে।

ঘরে ফেরা: মহারাষ্ট্র থেকে অসমগামী ট্রেনে যাত্রীদের ভিড়। মঙ্গলবার নিউ আলিপুরদুয়ারে। ছবি: নারায়ণ দে

ঘরে ফেরা: মহারাষ্ট্র থেকে অসমগামী ট্রেনে যাত্রীদের ভিড়। মঙ্গলবার নিউ আলিপুরদুয়ারে। ছবি: নারায়ণ দে

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২০ ০৬:০২
Share: Save:

বেপরোয়া গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে সংখ্যা। মঙ্গলবার নতুন করে আরও ২৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোচবিহারে। সবমিলিয়ে কোচবিহারে আক্রান্তের সংখ্যা দাড়াল ১২০ জন।

উত্তরবঙ্গে এখন তিন নম্বরে রয়েছে এই জেলা। তার আগে রয়েছে উত্তর দিনাজপুর এবং মালদহ। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের অনেকেরই আশঙ্কা, কোচবিহারে ওই সংখ্যা আরও অনেকটাই বাড়বে। দিনকয়েক থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকদের লালারসের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তাতেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে ওই সংখ্যা। তার মধ্যেই অবশ্য আশার খবর, ওই আক্রান্তদের ২৬ জনের রিপোর্ট দ্বিতীয় পরীক্ষায় নেগেটিভ এসেছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ওই আক্রান্তদের কারও কোনও উপসর্গ নেই। তাই আপাতত প্রত্যেককে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা হবে। জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বলেন, “প্রত্যেক ক্ষেত্রেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোচবিহারে ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ ১৫ হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে এসেছেন। জেলায় সোমবার পর্যন্ত ৫ হাজার ৭৭৩ জনের লালারস পরীক্ষা হয়েছে। তার মধ্যে ৪২৯৫ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ৮৯ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এর বাইরেও আলিপুরদুয়ারের কামাখ্যাগুড়ির কোয়রান্টিনে থাকা ২ কোচবিহারের বাসিন্দারও রিপোর্টও পজিটিভ ছিল।

মঙ্গলবার আরও নতুন করে ২৯ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ওই পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, যারা আক্রান্ত হয়েছেন প্রত্যেকেই ভিনরাজ্য থেকে জেলায় ফিরেছেন। এদিনের ২৯ জনের মধ্যে ১৪ জন মহারাষ্ট্র থেকে ফিরেছেন। দিল্লি ও তার কাছাকাছি এলাকা থেকে ফিরেছেন ১০ জন। বাকি ৫ জন অন্য রাজ্য থেকে জেলায় ফিরেছেন। ওই বাসিন্দারা প্রত্যেকেই দিনহাটার বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে দিনহটা-১ নম্বর ব্লকে ১১ জন, দিনহাটা-২ নম্বর ব্লকে ১৫ জন এবং সিতাইয়ের ৩ জন। এখন পর্যন্ত জেলার দিনহাটা মহকুমাতেই আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি।

জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “ভিনরাজ্য ফেরত খুব অল্প মানুষেরই এখন পর্যন্ত লালারস পরীক্ষা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একটি বড় অংশ আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই ওই সংখ্যা আরও অনেকটাই বাড়বে ধরেই নেওয়া যায়।”

সেক্ষেত্রে আক্রান্তদের চিকিৎসা এবং আলাদা করে রাখার উপরেই জোর দিতে চাইছেন প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গা থেকে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে, আক্রান্ত অনেকেই গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। রেড জোন থেকে ফেরা অনেককেই হোম কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে। তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই ক্ষোভ আছে।

প্রশাসন জানিয়েছে, এ দিন যে ২৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই হোম কোয়রান্টিনে ছিলেন। তাঁদের চিহ্নিত করে আলাদা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “আক্রান্ত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা পরিকাঠামো উন্নতি করা হচ্ছে। তাই আতঙ্কের কিছু নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Covid-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE