এক একটি ন্যাপকিন তৈরিতে খরচ হবে মাত্র দেড় টাকা বা তারও কম।
ডিম রাখার পিচবোর্ডের খোলা দিয়ে তৈরি হয়েছে স্যানিটারি ন্যাপকিন। জলপাইগুড়ি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের গবেষণাগারে হাতেকলমে তার পরীক্ষাও হয়েছে। সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকের দফতরে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এক একটি ন্যাপকিন তৈরিতে খরচ হবে মাত্র দেড় টাকা বা তারও কম।
কলেজ জানিয়েছে, জেলার চা বাগানের মহিলাদের অত্যন্ত কম খরচে বা বিনামূল্যে এই স্যানিটারি ন্যাপকিন তুলে দেওয়া যেতে পারে। আগামী সপ্তাহে সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে আঞ্চলিক বিজ্ঞান কংগ্রেসের আসর বসবে। তারপর কলেজের সমাবর্তনও রয়েছে। সেখানে ডিম রাখার খোলা থেকে ন্যাপকিন তৈরির মডেলও থাকবে।
জলপাইগুড়ি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ অমিতাভ রায় বলেন, “সমাজের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। কলেজে একটি পৃথক উদ্ভাবন কেন্দ্র হয়েছে। সেখানেই কম খরচের ন্যাপকিনের মতো নানা প্রকল্প হয়েছে।”
আরও পড়ুন: গড়চুমুকে পিকনিকে নিষিদ্ধ ডিজে, মদ্যপান, থার্মোকল, প্লাস্টিকও
বছরখানেক আগে কলেজের পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের একটি দল লাগোয়া রায়পুর চা বাগানে সমীক্ষায় গিয়েছিলেন। বাগানের শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান খুঁটিয়ে দেখার চেষ্টা করেন কলেজের প্রতিনিধিরা। আর্থিক কারণে বাগানের মহিলারা স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে পারেন না বলে সমীক্ষায় জানা যায়। ছেড়া কাপড় ব্যবহার করায় রোগ সংক্রমণের শিকারও হন অনেকে। কলেজের দাবি, প্রশাসনের সহায়তা পেলে ন্যাপকিন তৈরির খরচ আরও কমবে। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বেশ কয়েকমাস আগে প্রকল্পটি জমা পড়েছিল। বিষয়টি নিয়ে আলোচনাকলেজের তরফে জানানো হয়েছে, ডিম রাখার খোলাকে প্রথমে ভেঙে গুঁড়ো করা হয়েছে। সেটিতে জল দিয়ে এক বিশেষ মেশিনের সাহায্যে কেকের মতো টুকরো করা হয়েছে। মেশানো হয়েছে একটি রাসায়নিক। কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র প্রতীক মিশ্র উদ্ভাবন কেন্দ্রের ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। প্রতীক বললেন, “ডিমের খোলা থেকে তৈরি কেক ৬-৮ ঘণ্টা সেটি জল ধারণ করতে পারে। জিনিসটি কতটা স্বাস্থ্যসম্মত তাও দেখা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: বালাপোশ, রেডিমেড তোশকে বিপন্ন ধুনুরিরা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy