Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

উত্তরের চিঠি

শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের ৩৭ ও ৩৮ নং ওয়ার্ডের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে জোড়াপানি নদী। কাচারি রোড থেকে আশিঘর যাবার প্রধান রাস্তায় জোড়াপানি নদীর ওপর কালভার্ট সাতটি হিম পাইপ দিয়ে। নদীতে দূর থেকে ফেলা থার্মোকলের থালা, আবর্জনার সঙ্গেই ঘঘুমালি বাজারের মাছের বাক্স জমে সব জল যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে।

নদীর কালভার্টের মুখ বন্ধ আবর্জনার স্তূপে।—নিজস্ব চিত্র

নদীর কালভার্টের মুখ বন্ধ আবর্জনার স্তূপে।—নিজস্ব চিত্র

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৬ ০২:৪৯
Share: Save:

আবর্জনায় ঢাকা পড়ছে জোড়াপানি

শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের ৩৭ ও ৩৮ নং ওয়ার্ডের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে জোড়াপানি নদী। কাচারি রোড থেকে আশিঘর যাবার প্রধান রাস্তায় জোড়াপানি নদীর ওপর কালভার্ট সাতটি হিম পাইপ দিয়ে। নদীতে দূর থেকে ফেলা থার্মোকলের থালা, আবর্জনার সঙ্গেই ঘঘুমালি বাজারের মাছের বাক্স জমে সব জল যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। তার উপর পাহাড় প্রমাণ আবর্জনার স্তূপ। ফলে জল জমে যাচ্ছে নদীর। এই জলেই আবার ফেলা হচ্ছে বাজারের সব জঞ্জাল। ফলে জল হচ্ছে দূষিত এবং দুর্গন্ধে ভরা। ফলে পরিষেবাও দূষিত হচ্ছে। এই বন্ধ জলাশয়েই হয়েছে মশার আঁতুরঘর। এখানে প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ মশা। কর্পোরেশন সব দেখেও নির্বিকার। পরিষ্কার করার কোনও চেষ্টাই নেই তাদের। নদীর পাড়ের বাসিন্দারা বলছেন দুর্গন্ধে বাচ্চারা সব অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সন্ধ্যার পর বাইরে বসা যাচ্ছে মা। অথচ কর্পোরেশন কিছুই করছা

—যতন পাল চৌধুরী, শিলিগুড়ি

নিয়মিত চাই এই বিভাগ

পত্রিকায় উত্তরের চিঠি বিভাগটি ভীষণ ভাল লাগছে। যে কোনও পত্রিকায় পাঠকের মতামত, সমস্যা জানানোর জায়গা থাকলে পত্রিকার জনপ্রিয়তা বাড়ে। কারণ মানুষ নানা সমস্যায় জর্জরিত। জায়াগা পেলে সমস্যাগুলো তুলে ধরার সুযোগ পাওয়া যায়। কখনও সমাধানও পাওয়া যায়। বিভিন্ন মতামতও জানানো যায়। কিন্তু মাত্র সপ্তাহে এক দিন ছাপা হয় উত্তরের চিঠি। সারা সপ্তাহ হাপিত্যেশ করে বসে থাকতে হয় এই একটি দিনের জন্য। তাই বলছিলাম যদি জায়গা হয় এবং দু’ চারটি করে লেখা নিয়মিত ছাপা হয়, তা হলে পত্রিকার জনপ্রিয়তা বহু গুণ বেড়ে যেত। নিয়মিত অসুবিধা হলে চার পাঁচ দিন ছাপা হলেও ভাল হতো। এত সুন্দর বিভাগ সপ্তাহে একদিন ছাপা হওয়ায় তৃপ্তি হচ্ছে না। অনুরোধ করছি নিয়মিত ছাপাতে। এলাকায় প্রতুর লেখার লোকও আছে।

—শিপ্রা শিকদার, মোহনপাড়া এক্সটেনশন, জলপাইগুড়ি

চিকিৎসা পরিষেবার হাল শোচনীয়

উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ এবং তার আশপাশের এলাকায় বিরাট সংখ্যক লোকের বাস। অথচ রায়গঞ্জে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার সুযোগ আজও তেমন ভাবে নেই। রায়গঞ্জের জেলা হাসপাতালে যাঁরা যান, তাদের অভিজ্ঞতাও ভাল হয় না। ডাক্তার, নার্স, ওষুধ, রোগীদের শয্যা-সংখ্যা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা— সব কিছুরই অভাব এখানে। ডাক্তারবাবুরা ব্যস্ত নিজেদের মধ্যে মারপিট করতে। একজন আরেক জনের আঙুল কামড়ে দিচ্ছেন। বেসরকারি নার্সিংমহোমগুলিতেও উন্নত চিকিৎসাব্যবস্থা নেই। অথচ চিকিৎসা ব্যয় খুব চড়া।

রায়গঞ্জে প্রাইভেট প্র্য্যাটিস করেন এমন চিকিৎসকদের কাছে খুব সহজে রোগী দেখানোর সুযোগ নেই। রাত তিনটে থেকে কোথাও কোথাও নাম লেখাতে হয়। রাজনৈতিক টানাপোড়েনে রায়গঞ্জে এইমস ধাঁচের হাসপাতাল গড়ে ওঠেনি। নাম-কা-ওয়াস্তে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের উদ্বোধন হলেও এখনও সেখানে পরিষেবা পাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা, রায়গঞ্জের মানুষেরা, সুস্থ এবং নীরোগ ভাবে বাঁচতে চাই। সে সুযোগ আমরা কবে পাব?
—সামিম আখতার বানু, সোনাবাড়ি, মিরুয়াল, রায়গঞ্জ

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস

গত ১৮ এপ্রিল পালিত হল বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস। প্রতি বছরই এই দিনটিতে প্রাচীন ঐতিহ্যগুলো একটা মর্যাদা পায়। পশ্চিমবঙ্গের প্রান্তিক জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরে রয়েছে অসংখ্য পুরাকীর্তি, মন্দির, মসজিদ, দরগা, চার্চ, জমিদারবাড়ি, প্রাচীন জলাশয়, শ্মশান, গোরস্থান ইত্যাদি কিন্তু কোনও স্থাপত্যই ঐতিহ্যের মর্যাদা পায়নি আজও। জেলার খাঁপুর গ্রামে আছে একটি ভগ্নপ্রায় টেরাকোটা মন্দির। পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশনের দুটি প্রতিনিধি দল এই সিংহবাহিনী মন্দিরটি দুটি পর্যায়ে দেখে একটি এস্টিমেট দেন এবং আশ্বাস দেন মন্দিরটির সংস্কারের কাজ শীঘ্রই শুরু করবেন। কিন্তু তিন বছর অতিক্রান্ত। কাজ আজও শুরু হয়নি। এ ছাড়া গঙ্গারামপুরের মাহুর কিসমতের টোরাকোটা মন্দির, করদহের শিবমন্দির, পোড়াগাছির শিব মন্দির, প্রাণসাগরের মন্দির, ভিকাহারের মন্দিরবাসিনীদেবীর মন্দির, দিনাজপুরের টেরাকোটার অপূর্ব শিল্পকীর্তি বহন করে চলেছে। তবে এই সব মন্দিরের সংস্কার না করলে দিনাজপুরের টেরাকোটার শিল্পগরিমা অচিরেই হারিয়ে যাবে। দক্ষিণ দিনাজপুরের হেরিটেজ সোসাইটিও নানা স্থানে দরবার করছে যদি জেলার ঐতিহ্য বাঁচানো যায়। প্রশাসনের মাধ্যমে দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রত্নকীর্তির তথ্য এশিয়াটিক সোসাইটির কাছেও পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সাড়া মেলেনি। শুধুমাত্র জেলার বাণগড়েই ১৯৩৮-৪১, ২০০৭, ২০০৯ সালে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের উদ্যোগে প্রত্ন খনন হয়। পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ ২০০৯ সালে যে রিপোর্ট পেশ করেন তাতে বলা হয়েছে যে, ‘বাণগড়ের সভ্যতাতে যে নিদর্শন পাওয়া গেছে তাতে আজ থেকে প্রায় ২৫০০ বছরের পুরনো এক জনপদের অস্তিত্বকে কোনও ভাবেই অস্বীকার করা যায় না’। দক্ষিণ দিনাজপুর অবিভক্ত দিনাজপুরেরই অংশ এবং অত্যন্ত প্রাচীন সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। জেলাবাসীরা আশাবাদী যে আগামী দিনে খাঁপুরের সিংহবাহিনী মন্দির জেলার প্রথম হেরিটেজের তকমা পাবে এবং পরবর্তী সময়ে সরকার অন্যান্য প্রাচীন ঐতিহ্যগুলোকে বাঁচানোর জন্য উদ্যোগী হবে।

—সমিত ঘোষ, বালুরঘাট, দক্ষিণ দিনাজপুর

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

letter to editor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE