প্রতীকী ছবি।
দার্জিলিং কেন্দ্রে লোকসভার প্রার্থী নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা রাজনৈতিক সমীকরণ শুরু হয়েছে। বিনয় তামাং আগেই ঘোষণা করেছেন, তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে আছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি ভরসা থাকার কথা বলেছে জিএনএলএফ-ও। তবে নিজেদের অবস্থান তারা এখনও স্পষ্ট করেনি। অন্য দিকে পাহাড়ের ২২টি রাজনৈতিক সংগঠন তৃণমূল, বিনয়পন্থী মোর্চা ও বিজেপি এই তিনটি দলের থেকেই সম দূরত্ব বজায় রেখে এক জন প্রার্থী ঠিক করে ভোটে লড়ার জন্য আলোচনা শুরু করেছে।
তৃণমূল না মোর্চা, শেষ পর্যন্ত পাহাড়ে কোন দল প্রার্থী দেবে সেটাই এখন সব থেকে বড় আলোচনার বিষয়। এই পরিস্থিতিতে পাহাড় তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি এলবি রাই দাবি করলেন, দার্জিলিং কেন্দ্র থেকে এ বার দলের প্রতীকেই প্রার্থী দাঁড়াচ্ছে। এলবি বলেন, ‘‘আমরা বুথ স্তর থেকে সংগঠন নতুন করে তৈরি করেছি। পাহাড়ে আমরাই এখন সবথেকে শক্তিশালী। জোরের সঙ্গে এটুকু বলতে পারি জোড়া ফুল প্রতীকেই এ বার প্রার্থী দাঁড়াবে। আমরা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি।’’ যদিও তৃণমূল সভাপতির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিনয় তামাং। তিনি বলেন, ‘‘প্রার্থী নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনা চলছে।’’
ভোট উপলক্ষে পাহাড়ে বিভিন্ন দলের সাংগঠনিক কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বিনয়পন্থী মোর্চা ও জিএনএলএফ দুই দলের নেতারাই দাবি করেছেন, অন্য দল ছেড়ে নেতা, কর্মীরা তাঁদের দলে যোগ দিচ্ছেন। রবিবার কালিম্পংয়ে একটি সভা করে তৃণমূল। সেখানে সিঙ্কোনা বাগান ও বিভিন্ন চা বাগানের শতাধিক কর্মী দলে যোগদান করেছেন বলেই জানিয়েছেন এলবি। তিনি আরও জানিয়েছেন, দার্জিলিং, মিরিক, গরুবাথান, পেডং, বিজনবাড়ি, শুকনাতে সভার প্রস্তুতি নিয়েছেন তাঁরা। ওই সভাগুলিতেও অনেকেই দলে যোগদান করবেন বলেই দাবি তাঁর। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের কাজে কালিম্পংয়ের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের সাংসদ শান্তা ছেত্রীকে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা দলীয় সংগঠন শক্ত করছি। বহু মানুষ দলে যোগদান করতে চাইছেন। আমরা শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ মতই পাহাড়ের প্রতিটি এলাকাতেই সভার কাজ শুরু করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy