সুজাপুরে। ছবি: তথাগত সেন শর্মা
দলত্যাগের পরে মৌসম নুরকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলেছিল কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেই জবাব দিতে এ বার মৌসমের পাশে দাঁড়ালেন খোদ তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মালদহে তিনি বলেন, “দল বদলানোর পর থেকে কংগ্রেসের বন্ধুরা মৌসমের নামে অনেক কথা বলে বেড়াচ্ছেন। মৌসম চলে গিয়ে অন্যায় করেছে, ইত্যাদি। কিন্তু না, মৌসম কোনও ভুল করেনি। ও লড়াকু মানুষের সঙ্গে এসেছে। মৌসমকে ভোট দিন”।
শুধু তাই নয়, মৌসমের দলবদল প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মৌসমও কংগ্রেস করত, আমিও কংগ্রেস করতাম ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত। কিন্তু দেখেছি কংগ্রেস দিনে কংগ্রেস, আর রাতে সিপিএম। একটা তরমুজ, বাইরেটা সবুজ ভিতরটা লাল। সে সময় আমাদের কংগ্রেসকর্মীরা মারা যাচ্ছেন আর কংগ্রেস সিপিএমের সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে। আমি এরই প্রতিবাদ করে দল ছেড়ে আসি।’’ তিনি বলেন, ‘‘মনে রাখুন, ১৯৯৮ সালে আমি যদি তৃণমূল তৈরি না করতাম, বাংলা থেকে বামফ্রন্টকে কোনও দিন হঠানো যেত না।”
মৌসম নুর ২৮ জানুয়ারি নবান্নে গিয়ে মমতার হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। ওই দলত্যাগের পরই তাঁকে বিশ্বাসঘাতক বলা শুরু হয়। উত্তর মালদহ আসনে কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরীও তাঁকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলেছিলেন প্রকাশ্যে। গত ২৩ মার্চ চাঁচলের কলমবাগান মাঠে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গাঁধীও মৌসমকে ‘ধোঁকাবাজ’ বলেছিলেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ দিন মৌসমের সমর্থনে দু’টি নির্বাচনী সভাতেই তার প্রতিবাদ করেন মমতা। সামসি ও পাকুয়াহাটে মমতা বলেন, “মৌসম আপনাদের ঘরের মেয়ে। উন্নয়নের মানসিকতা রয়েছে ওর। কেননা ও উন্নয়নের অন্যতম কাণ্ডারি বরকতদার পরিবারের মেয়ে। কিন্তু মৌসম বুঝে গিয়েছিল যে এই রাজ্যের কংগ্রেসে থেকে উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। কেননা কংগ্রেস এখন রাজ্যে সাইনবোর্ড। বাংলায় কংগ্রেস বিজেপির সঙ্গে আঁতাত করছে। দল বদলে ভাল করেছে মৌসম।”
কংগ্রেস অবশ্য দাবি করেছে, এলাকার মানুষ গনি খানের পরিবারের মেয়ের তৃণমূলে যাওয়াকে কখনওই ভাল মনে নেবেন না। সিপিএমও দাবি করেছে, মমতা ভুল কথা বলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy