পোস্টার: পাট্টার কথা দিয়ে পোস্টার তৃণমূলের। নিজস্ব চিত্র
দু’বছর আগের ২০১৭ সালের মে মাসের নির্বাচন। পাহাড়ের মিরিক পুরসভা নির্বাচনে চা বাগান এবং বনবস্তির বাসিন্দাদের জমির পাট্টা দেওয়ার আশ্বাসে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। ভোটের পরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিরিকের সভা থেকে পাট্টা দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু হবে বলে ঘোষণাও করে দেন। সরকারি সূত্রের খবর, গত প্রায় দুই বছরের সমীক্ষা, সরকারি আইন সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পর মিরিকের ৮৫০ বাসিন্দার পাট্টা দেওয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। ভোটের পরেই বিলি শুরু করে পাট্টা। পাহাড়ে যা ‘প্রজাপাট্টা’ বলে পরিচিত।
এই ‘মিরিক মডেলকে’ই সামনে রেখে এ বার লোকসভা আগে ফের পাহাড়ের চা বাগান ও সিঙ্কোনা বাগানে প্রজাপাট্টা-র আশ্বাস দিল তৃণমূল ও মোর্চা। যৌথভাবে তা ঘোষণা করে লিফলেটে প্রার্থীর ছবি, প্রতীক ছাপিয়ে বাগানে বাগানে প্রচার শুরু হয়েছে। দুই দলের নেতাদের আশ্বাস, ভোটে দলের প্রার্থী জিতলে পাহাড়ের আর দশটা সমস্যার সমাধানের সঙ্গে সঙ্গে পাট্টার প্রক্রিয়াও তরান্বিত করা হবে।
দলীয় সূত্রের খবর, পাহাড়ের চা বাগান, সিঙ্কোনা এবং বনবস্তি মিলিয়ে আড়াই লক্ষের মতো ভোটার আছেন। মোর্চার সাধারণ সম্পাদক অনীত থাপা ওই প্রচারপত্রের দায়িত্বে আছেন। শুধু প্রজাপাট্টা নয়, লিফলেটে বলা হয়েছে, অমর সিংহ রাই একা নন, বাসিন্দারা সকলে মিলে জিতেই পাহাড়ের ‘জাতি থেকে মাটি’ দু’টিরই সুরক্ষা করবেন। লিফলেটে চা বাগান, সিঙ্কোনা বাগানের কথা উল্লেখ করলেও বনবস্তির পাট্টার কথা মুখে বলছেন দুই দলের নেতারা। তবে কেন্দ্রীয় আইন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ-সহ নানা বিতর্ক থাকায় বনবস্তির পাট্টার আশ্বাসের কথা লিফলেটে উল্লেখ করা হয়নি।
তৃণমূলের পাহাড় কমিটির সভাপতি লাল বাহাদুর রাই বলেন, ‘‘মিরিকে আমরা কথা রেখেছি। সমস্ত সরকারি প্রক্রিয়ার মধ্যে ৮ শতাধিক বাসিন্দার পাট্টা দেওয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। ভোটের পরেই তা বিলি হবে। একই ভাবে পাহাড়ের চা বাগান, সিঙ্কোনা বাগান এবং বনবস্তির বাসিন্দাদেরও পাট্টার পক্ষে আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy