প্রতীকী চিত্র
ভোটের বাজারে ভোটে হেরে যাওয়াদেরও তুলে আনছে শাসক দল। প্রার্থীদের হয়ে ভোট প্রচারে দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে সমান ভাবে কাজে লাগাতেই তৃণমূলের এই পরিকল্পনা। দলীয় সূত্রের খবর, এতে হেরে যাওয়া দলীয় প্রার্থীরা বাড়তি উৎসাহ পাবেন। যেটা এই পরিস্থিতিতে দলের পক্ষে অত্যন্ত জরুরি।
মালদহ জেলায় গত পঞ্চায়েত ভোটে হেরে যাওয়া দলীয় প্রার্থীদেরও দলীয় কর্মসূচিতে ডাকা হচ্ছে। এমনকি, দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে জয়ী সদস্যদের সঙ্গে হেরে যাওয়া পঞ্চায়েত স্তরের প্রার্থীদেরও ডাকা হচ্ছে। লোকসভা ভোটে প্রচারের রণকৌশল নিয়ে তাঁদের সঙ্গেও পরামর্শ করা হচ্ছে। তাঁদের ভোট প্রচারেও নামানো হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলে আলোচনা, হেরে যাওয়া পঞ্চায়েত প্রার্থীরা এখন বসে গেলে দলের ফলাফল ব্যুমেরাং হতে পারে। সেই কারণেই তাঁদের বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রচারের কাজে নামাচ্ছে তৃণমূল।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত ভোটে গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২৩৫টি আসনের মধ্যে ১০৬৮টি আসলে তৃণমূল জয়লাভ করলেও বাকি ১১৬৭টি আসন বিরোধীরা দখল করে। পঞ্চায়েত সমিতির ৪১৬টির মধ্যে ২৪৬টি আসন তৃণমুল পেলেও বাকি ১৬৯টি আসন বিরোধীরা পায়। এদিকে জেলা পরিষদের ৩৭টি আসনের মধ্যে তারা পেয়েছে ৩০টি। বাকি সাতটিতে বিরোধীরা। ফলে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে তৃণমূলের মোট হেরে যাওয়া আসন ১৩৪৩টি। দলীয় সূত্রে খবর, হেরে যাওয়া ওই দলীয় প্রার্থীরা ভোটের পর থেকেই কার্যত বসে গিয়েছেন। দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাঁদের দেখা যাচ্ছে না। অথচ বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের আসন থেকে তাঁরা দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রায় সাড়ে ১৩০০ দলীয় প্রার্থীরা কার্যত বসে থাকায় তার প্রভাব পড়তে পারে লোকসভা ভোটে বলে আশঙ্কা দলের একাংশের।
দলীয় সূত্রে খবর, সেই আশঙ্কা থেকেই দলীয় নেতৃত্ব লোকসভা ভোটের মুখে এবারের জয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে হেরে যাওয়া প্রার্থীদেরও বিশেষ গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে। বুথ থেকে ব্লক স্তর পর্যন্ত দলীয় যে সমস্ত বৈঠক হচ্ছে, সেখানে ওই হেরে যাওয়া পঞ্চায়েত প্রার্থীদেরও ডাকা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, লোকসভা ভোটের প্রচারের রণকৌশল ঠিক করতে যে সমস্ত দলীয় বৈঠক হচ্ছে সেখানেও ডাক পড়ছে ওই হেরে যাওয়া প্রার্থীদের। তৃণমূলের এক জেলা নেতা বলেন, ‘‘এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই যে দলীয় যে সমস্ত প্রার্থীরা ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটে হেরে গেছেন তারা সংশ্লিষ্ট আসনগুলিতে দলেরই মুখ ছিলেন। সেই প্রার্থীরা যদি লোকসভা ভোটের সময় বসে থাকেন তবে দলেরই ক্ষতি।’’ তৃণমূলের মালদহ জেলা কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, ‘‘জেলার দু’টি লোকসভা আসন দখল করাই এবার আমাদের দলের টার্গেট। দলের সকলে মিলে জোট বেঁধে আমরা দুটি আসন দখল করতে চাই। সেই কারণে হেরে যাওয়া প্রার্থীদেরও আমরা সঙ্গে চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy