Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
তুফানগঞ্জে অনুমতি দিল না পুলিশও

ব্ল্যাকমানি প্রতিবাদে লোক কই

তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “সব জায়গায় মিছিল করা হবে। সে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”

নমিতেশ ঘোষ
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৯ ০৬:৩২
Share: Save:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে ব্ল্যাকমানি’র প্রতিবাদে ব্লকে ব্লকে মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন। ২৬ জুলাই শুক্রবার ও ২৭ জুলাই শনিবার, দু’দিনের ওই কর্মসূচি বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। প্রথম দিনে কোচবিহারের কার্যত কোথাও দেখা মিলল না তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। একমাত্র, তুফানগঞ্জ-১ নম্বর ব্লকের চিলাখানায় তৃণমূলের কিছু কর্মী জড়ো হয়েছিলেন মিছিলের জন্য। পুলিশের অনুমতি না থাকায় ভেস্তে যায় সেই মিছিলও। দলের অন্দরেই অভিযোগ উঠেছে, জেলা নেতাদের উদ্যোগের অভাবেই প্রথম দিন কোথাও মিছিল করা সম্ভব হল না। দলের আর একটি অংশ অবশ্য জানিয়েছে, দলের নিচুতলার কর্মীদের অধিকাংশ প্রকাশ্যে আসতে চাইছেন না, তাই মিছিল করা হয়ে ওঠেনি তাঁদের। বিজেপির কটাক্ষ, মানুষ এখন আর তৃণমূলকে চাইছে না। লোক না থাকলে কাকে নিয়ে মিছিল করবে তারা।

তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “সব জায়গায় মিছিল করা হবে। সে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।” তৃণমূলের কার্যকরি সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় দাবি করেন, ২১ জুলাইয়ের সভায় গিয়েছিলেন জেলার নেতা-কর্মীরা। কলকাতায় আরও কিছু দলীয় কর্মসূচি ছিল। সে সব শেষ করে সবাই জেলায় ফিরেছেন সদ্য। তাই প্রস্তুতি নিতে একটু দেরি হয়েছে। ২৭ ও ২৮ জুলাই দু’দিন সব জায়গায় মিছিল হবে। তিনি বলেন, “সব জায়গায় মিছিল করা হবে। শুধু একদিন দেরি হল।” বিজেপি’র কোচবিহার জেলার সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে এখন আর কেউ নেই। কিছু দুষ্কৃতী নিয়ে গণ্ডগোল করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। কিন্তু মানুষ কেউ তাদের সঙ্গে নেই।”

কাটমানি ইস্যুতে রাজ্যের একাধিক জায়গার সঙ্গে কোচবিহারও উত্তাল হয়ে উঠেছিল। পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে প্রধান, পুরসভার কাউন্সিলর, পুরপ্রধান পর্যন্ত ঘেরাও হন সাধারণ মানুষের হাতে। সেই আন্দোলনে দেখা গিয়েছিল বিজেপি নেতাদেরও। অনেকেই টাকা ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হন। এই অবস্থায় ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমানি’র অভিযোগ তুলে সরব হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উজ্জ্বলা গ্যাস বিলিতেও দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়। সে সব নিয়ে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন নেত্রী। দু’দিনের কর্মসূচিও বেঁধে দেওয়া হয়। দলের আশা রয়েছে, ওই কর্মসূচির মাধ্যমেই গ্রামে গ্রামে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে তৃণমূল। সেই ব্ল্যাকমানি নিয়ে প্রথম দিনে কার্যত কোচবিহারে পথে নামতে পারেনি রাজ্যের শাসক দল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলেরই এক নেতার কথায়, “কোচবিহারে সমস্ত ব্লক কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বিধায়কদেরই ওই আন্দোলনের আয়োজন করার কথা। কিন্তু সে ভাবে কেউ উদ্যোগী না হওয়ায় প্রথম দিন কিছু হল না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Protest TMC Mamata Banerjee Black Money
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE