পরিদর্শন: মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের কর্তা ও ইউনিসেফের সদস্যেরা। নিজস্ব চিত্র
আট দিন আগেই মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছিলেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। অভিযোগ, এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে ঘুরেও চিকিৎসকদের দেখা পাননি তিনি।
এ বার মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগ পরিদর্শনে গিয়ে চিকিৎসকদের দেখতে না পেয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের যুগ্মসচিব (শিশু ও প্রসূতি বিভাগ) এস কে সিকদার। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুরে হাসপাতাল পরিদর্শন করেন তিনি। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দেন ওই কেন্দ্রীয় আধিকারিক। চিকিৎসকদের হাজিরা বাড়াতে ‘রোস্টার’ তৈরি করে ওয়ার্ডে ঝোলানো হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ২৪টি বিভাগ রয়েছে। হাসপাতালের অন্তর্বিভাগে দিনে আড়াই থেকে তিন হাজার রোগী ভর্তি থাকেন। কর্তৃপক্ষের দাবি, মেডিক্যাল কলেজ হওয়ায় চিকিৎসকের সঙ্কট নেই হাসপাতালে। হাসপাতালে ১৭০ জন অধ্যাপক চিকিৎসক রয়েছেন। চিকিৎসক রয়েছেন ২০ জন। হাউজস্টাফ ৬১ জন, জুনিয়র চিকিৎসক রয়েছেন ১০০ জন।
পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক থাকলেও রোগীদের মধ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ, ওয়ার্ডে নিয়মিত পরিদর্শনে আসেন না চিকিৎসকেরা। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ১২ ফেব্রুয়ারি হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে চিকিৎসকদের দেখা না পেয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। তাঁর পরিদর্শনের পরেও ছবি বদলায়নি হাসপাতালে— এমনই অভিযোগ রোগী ও তাঁদের পরিজনদের।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ হাসপাতালে পরিদর্শনে যান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের যুগ্নসচিব (শিশু ও প্রসূতি বিভাগ) এবং ‘ইউনিসেফ’-এর প্রতিনিধিদল। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়, সহ-অধ্যক্ষ অমিতকুমার দাঁকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগ পরিদর্শন করেন তিনি। হাসপাতাল জানা গিয়েছে, মাতৃমা বিভাগের প্রসূতি, শিশু ও এসএনসিইউ বিভাগ ঘুরে দেখেন ওই প্রতিনিধিদলের সদস্য। অভিযোগ, ওয়ার্ডে চিকিৎসকদের দেখা না পেয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় ওই আধিকারিক।
অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম বলেন, ‘‘এখন রোস্টার আমার কাছেও রোস্টার রাখা হবে। আশা করছি, আগামী দিনে তাতে সমস্যা অনেকটাই মিটবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy