প্রতীকী ছবি।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফালাকাটার উপ-নির্বাচনকে পাখির চোখ করছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু ওই বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন বুথের সাংগঠনিক শক্তি নিয়েও চিন্তা কাটছে না দলের নেতাদের একাংশের। মঙ্গলবার মাদারিহাটে রাজ্যের তিন মন্ত্রী মলয় ঘটক, অরূপ বিশ্বাস ও গৌতম দেবের উপস্থিতিতে দলের সাংগঠনিক বৈঠকে এই বিষয়টি ওঠে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। এই অবস্থায় নিজেদের মধ্যে যাবতীয় দ্বন্দ্ব ভুলে নেতাদের বুথে পড়ে থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে নির্দেশ দেন মন্ত্রীরা।
গত লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ারে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূলের। আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে বিজেপির কাছে হারতে হয় রাজ্যের শাসকদলকে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যা চিন্তা বাড়িয়েছে তৃণমূল শিবিরে। এর মধ্যেই গত অক্টোবর মাসে ফালাকাটার বিধায়ক অনিল অধিকারীর মৃত্যুর জেরে সেখানে বিধানসভার উপ-নির্বাচন হবে। এই অবস্থায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই নির্বাচনে জয়লাভ করাটাও এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ তৃণমূল নেতৃত্বের।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনের বৈঠকে দলের এক জেলা নেতা জানান, লোকসভা নির্বাচনের পরে এক বছর পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অনেক বুথেই নেতারা পৌঁছতে পারেননি। এই অবস্থায় ফালাকাটার নির্বাচনে জয় না পেলে তাঁরা শীর্ষ নেতৃত্বকে মুখ দেখাবেন
কি করে? সূত্রের খবর, এর পরেই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘‘নির্বাচনে জিতলে তবেই আপনাদের পদোন্নতি হবে। তাই প্রত্যেককে দায়িত্ব নিয়ে বুথে বুথে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’’
দলের আলিপুরদুয়ারের পর্যবেক্ষক মলয় ঘটক বলেন, ‘‘ফালাকাটায় সংগঠনকে শক্তিশালী করতে জেলা নেতারাও সেখানে যাবেন। তবে ব্লক সভাপতিকে জানিয়ে ডেকোরাম মেনেই তাঁরা সেখানে যাবেন।’’ তবে শুধু ফালাকাটার উপ নির্বাচনই নয়, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে গোটা জেলাতেই জনসংযোগ বাড়াতে এ দিন মন্ত্রীরা আলিপুরদুয়ার জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। নেতাদের একাংশ জানান, গত বিধানসভা নির্বাচনে হারের জেরে এ বার মাদারিহাটকেও শীর্ষ নেতৃত্ব একটু বেশিই গুরুত্ব দিচ্ছেন। সে জন্যই এ দিন সেখানে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। তবে কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে টানা প্রচারও সফল ভাবে করতে এ দিন আলিপুরদুয়ার জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন তিন মন্ত্রী। বৈঠক শেষে অরূপ বলেন, ‘‘প্রচার নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy