৫০ লক্ষ টাকা খরচ করে ইসলামপুরের জন্য তৈরি হচ্ছে বন্যা ও সাইক্লোনে দুর্গতদের উদ্ধার কেন্দ্র। গত জানুয়ারি মাস থেকে কাজ শুরু হয়েছে। তবে ৬ মাসে কাজের গতি একেবারেই কম বলে অভিযোগ। কত দিনে সেই কাজ শেষ হবে সেই সম্পর্কে কোন কিছুই স্পষ্ট করে জানাতে পারেননি প্রশাসনের কর্তারা। ইতিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে উত্তরবঙ্গে। তাই জোরদার কাজ করলেও এই বর্ষার মরসুমে সেই কাজ সম্পূর্ণ হবে না বলে মনে করছেন বাসিন্দারা। এমনকি, ১৮০ দিনের কাজ ১৮ মাসেও সম্পূর্ণ হবে কি না সে প্রশ্নও উঠেছে। যদিও ইসলামপুরের বিডিও স্মিতা সুব্বা বলেন, ‘‘খুব তাড়াতাড়ি কাজটি শেষ হওয়ার কথা। এলাকার কিছু কিছু সমস্যার কারণে সেই কাজ কিছুটা দেরিতে শুরু হয়েছে। তবে কাজেই গতি কম হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে চিঠি দিয়ে জানানো হবে।’’
ইসলামপুরের ঠাকুরনগর কলোনির প্রাইমারি স্কুল লাগোয়া এলাকায় তৈরি হচ্ছে উদ্ধার কেন্দ্রটি। তিনতলা ভবন নির্মাণের কথা রয়েছে। সেখানে নীচের তলা সম্পূর্ণ ফাঁকা রাখা হবে। বন্যার জলে ভেসে যাওয়া গবাদি পশু উদ্ধারের পরে রাখার ব্যবস্থা থাকবে সেখানে. দোতলায় হবে দুটি বড় বড় হল ঘর। সেখানে বন্যা বিধ্বস্ত এলাকার মানুষজনকে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। প্রশাসনের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ের কাজের জন্য এসেছে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। ইসলামপুরের সেই কাজটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল গত ৩০ সেপ্টেম্বর। অনলাইনের মাধ্যমে টেন্ডার হওয়ার পর একটি সংস্থা কাজের বরাত পায়। গত জানুয়ারি মাসের কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছিল ব্লক প্রশাসন। কিন্তু প্রায় ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও কাজ প্রায় কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ।
সিপিএম এর ইসলামপুর লোকাল কমিটির সম্পাদক বিকাশ দাস বলেন, ‘‘এই সরকার কেবল প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ হয়।’’ অপর দিকে বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসের ইসলামপুর ব্লক সভাপতি জাকির হুসেন বলেন, ‘‘ চারিদিকে শুধু উদ্বোধন হয়। কাজের কাজ কিছুই হয় না। এক বছরেও এই কাজ হবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।’’
প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, ইসলামপুরের ওই কাজের জন্য গত জানুয়ারি মাসেই কাজের নির্দেশিকা বের হয়. তার পরই অনুমতি বের করে গাছ কাটার ব্যবস্থা করতে কয়েক দিন সময় লাগে. এর পরই এলাকার শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানোর দাবিতে কাজ আটকে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে সব কিছু ঠিকঠাক করে কাজ শুরু হয় গত এপ্রিল মাসে। তবে সমস্যা যাই হোক সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থাকে কেবল মাত্র গাছ কাটার জন্য যে সময়টি লেগেছিল বাড়তি সেই সময়টুকুই দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy