Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

খেলতে গিয়ে অসুস্থ, মৃত্যু স্কুল পড়ুয়ার

স্কুল ও পরিবার সূত্রে খবর, এ দিন বেলা ১টা নাগাদ টিফিনের সময়ে স্কুলের মাঠে ছাত্রছাত্রীরা খেলছিল। সেই সময় বন্ধুদের সঙ্গে কবাডি খেলছিল সৌম্যদীপ।

সৌম্যদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

সৌম্যদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:১৫
Share: Save:

স্কুলে টিফিনের সময়ে কবাডি খেলতে গিয়ে চোট লেগে মৃত্যু হল এক ছাত্রের। শুক্রবার শিলিগুড়ির আশিঘর এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলের ঘটনা। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম সৌম্যদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৩)। তার বাড়ি শিলিগুড়ির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্জাবিপাড়ায়।

স্কুল ও পরিবার সূত্রে খবর, এ দিন বেলা ১টা নাগাদ টিফিনের সময়ে স্কুলের মাঠে ছাত্রছাত্রীরা খেলছিল। সেই সময় বন্ধুদের সঙ্গে কবাডি খেলছিল সৌম্যদীপ। খেলার সময় এক সঙ্গীকে ধরতে গিয়ে দু’জনে মিলে পড়ে যায়। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, তখনই বুকে ব্যাথা অনুভব করে সৌম্যদীপ। সতীর্থদের বলে পিঠে মালিশ করে দিতে। তা করার পরে ফের সে উঠে দাঁড়িয়ে খেলতেও শুরু করে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে ফের অসুস্থ বোধ করে সৌম্যদীপ। তখনই অন্য পড়ুয়ারা স্কুল কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়। ধরাধরি করে সৌম্যদীপকে স্কুলের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে স্কুলের একজনের গাড়ি করে সৌম্যদীপকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় সেবক রোডের একটি নার্সিংহোমে। চিকিৎসক সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ওই পড়ুয়ার দেহ।

সৌম্যদীপের বাবা সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন। গুজরাতে কর্মরত ছিলেন তিনি। মাস দুয়েক আগে তিনি সেই কাজ ছেড়ে দেন। এ দিন দুপুরে কোচবিহারে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার সময় ফোনে খবর পান ছেলে স্কুলে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সৌম্যদীপের দিদি সায়নী গুরগাঁওতে কর্মরত। বাড়িতে মা সুমিতা রয়েছেন। খবর পেয়ে বাড়ির লোকেরা নার্সিংহোমে গিয়ে দেখেন সৌম্যদীপের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে।

২ অক্টোবর সৌম্যদীপের জন্মদিন। বাড়ির লোকেরা বিশ্বাস করতে পারছেন না সৌম্যদীপ বেঁচে নেই। সোমনাথ বলেন, ‘‘ক্রিকেট, ফুটবল খেলত। ইদানীং টিভিতে খেলা দেখে কবাডিতে উৎসাহী হয়। বাড়িতেও সে কথা বলত। তা খেলতে গিয়ে এতবড় সর্বনাশ হবে ভাবতে পারিনি।’’ শোকে ভেঙে পড়েছেন সৌম্যদীপের মা। বলেন, ‘‘ও আমাদের জীবনে ভগবানের উপহার ছিল। খুব কম সময় ওকে রাখতে পারলাম।’’

পড়শিরাও ঘটনায় হতবাক। খবর পেয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান এলাকার কাউন্সিলর মানিক দে। তিনি বলেন, ‘‘শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিল। প্রতিদিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে কুকুরদের বিস্কুট খাওয়াত। এ ভাবে মারা যাবে কেউ মেনে নিতে পারছে না।’’ স্কুলের কর্ণধার এজাজ ই সাদিক বলেন, ‘‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এ ভাবে ছাত্রের মৃত্যু আমরাও মেনে নিতে পারছিনা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Death School Student
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE