Advertisement
১১ মে ২০২৪
Covid-19

স্যানিটাইজ়ার নয়, সাবান

জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের একাধিক স্কুলে যে স্যানিটাইজ়ার চলতি মাসে দেওয়া হয়েছে তার বোতলের গায়ে ‘শিশুদের থেকে দূরে রাখুন’ সতর্কবার্তা লেখা ছিল। যা নিয়ে অভিযোগ তোলে শিক্ষকদের সংগঠন।

স্যানিটাইজ়ার নিয়ে বিতর্কের খবর করে আনন্দবাজার-ই।

স্যানিটাইজ়ার নিয়ে বিতর্কের খবর করে আনন্দবাজার-ই।

অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২০ ০৩:৪৫
Share: Save:

বিতর্কের মুখে মিড-ডে মিলে স্যানিটাইজ়ার দেওয়ার সিদ্ধান্তই বদলে গেল। আগামী মাসে প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিকের পড়ুয়াদের মিড-ডে মিলের চাল-আলু-ডাল-সয়াবিনের সঙ্গে দেওয়া হবে সাবান। চলতি মাসে স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হয়েছিল রাজ্য জুড়ে। পঞ্চাশ মিলিলিটারের এক একটি স্যানিটাইজ়ারের শিশির জন্য সরকারি বরাদ্দ ছিল ২২ টাকা। এই স্যানিটাইজ়ারের দাম ও গুণমান নিয়ে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল বিভিন্ন এলাকায়। সেই খবর আনন্দবাজার পত্রিকা করেছিল। আপাতত সরকারের সিদ্ধান্তে নতুন করে বিতর্কের আশঙ্কা বন্ধ হল বলে মনে করছেন প্রশাসনের একটা অংশ। বিকাশ ভবনের এক কর্তা জানান, সাবানেই গ্রামের পড়ুয়ারা বেশি স্বচ্ছন্দ, তাই এ বার সাবান দেওয়া হবে।

জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের একাধিক স্কুলে যে স্যানিটাইজ়ার চলতি মাসে দেওয়া হয়েছে তার বোতলের গায়ে ‘শিশুদের থেকে দূরে রাখুন’ সতর্কবার্তা লেখা ছিল। যা নিয়ে অভিযোগ তোলে শিক্ষকদের সংগঠন। বেশ কিছু স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা প্রতিবাদ করায় পরে তাঁদের অন্য স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হয়। ৯ জুলাই জলপাইগুড়ি সদর ব্লক থেকে দাবি করা হয় তারা সরকারি দর মেনে স্যানিটাইজ়ার কিনেছেন। এ দিকে জলপাইগুড়ি শহরের স্কুলগুলিকে নিজেদের দায়িত্বে স্যানিটাইজ়ার কিনতে বলা হয়েছিল। শহরের তিনটে স্কুল দাবি করে তারা টেন্ডার করে ১৮ টাকা দরে স্যানিটাইজার কিনেছেন। রাজগঞ্জ ব্লক ১৭ টাকা করে কিনেছে বলে দাবি করে। শিক্ষক সংগঠনগুলি প্রশ্ন তোলে, এক একটি স্কুল অল্প সংখ্যার স্যানিটাইজ়ার কম দামে কিনতে পারছে, রাজগঞ্জ ব্লকও কম দামে কিনছে সে ক্ষেত্রে অন্য ব্লকগুলি সরকারি দরে ২২ টাকায় স্যানিটাইজ়ার কেনার কথা বলছে কী করে? ১২ জুলাই জলপাইগুড়ি সদর বিডিওর তরফে দাবি করা হয়, সদর ব্লক ১৮ টাকা দরে স্যানিটাইজ়ার কিনেছে।

নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক বিপ্লব ঝাঁ বলেন, “স্যানিটাইজ়ার কেনার পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে তদন্ত হোক।’’ ব্লকগুলিতে ভুরি ভুরি দুর্নীতি হয়েছে বলেই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হয়েছে।” তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি নির্মল সরকার বলেন, “একটা পরিবর্তন হয়েছে, ভালই তো।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Covid-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE