এক শ্রমিক সহকারী ম্যানেজারের কলার ধরে মারধর করার অভিযোগকে ঘিরে চা বাগানের কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি কালচিনি ব্লকের ডিমা চা বাগানে। ঘটনার প্রতিবাদে অভিযুক্ত শ্রমিককে পাল্টা অন্য শ্রমিকরা মারধর করেন বলে অভিযোগ। মারধরের জেরে ওই শ্রমিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কালচিনি থানার ওসি প্রেমা ওয়াংডি ভুটিয়া বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
ডিমা চা বাগানের ম্যানেজার সুধীর কুমার দাস জানান, গত রবিবার রাতে ফ্যাক্টরির সিটিসি বিভাগে কাজ চলার সময় এক শ্রমিক বাইরের কিছু লোক এনে তাদের কাজে রাখার জন্য চাপ দেয় সহকারি ম্যানেজার গোপাল মিশ্রকে। সহকারি ম্যানেজার ওই শ্রমিকে জানান, কারখানায় পর্যাপ্ত লোক রয়েছে। নতুন করে শ্রমিকের প্রয়োজন নেই। গোলমাল করে ওই লোকজন ঘটনার জেরে তিনটি সিটিসি মেশিনের মধ্যে একটি মেশিনে সারারাত কাজ বন্ধ থাকে। সকালে খবর শুনে ওই শ্রমিককে শোকজের নির্দেশ দিই।
তিনি জানান, এদিন বিকেলে ফের ওই শ্রমিক ফ্যাক্টরিতে ঢুকে সহকারি ম্যানেজারকে কলার ধরে মারধর করে। এতে ম্যানেজারদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। বিষয়টি পুলিশে জানানো হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার ডিমা চাবাগানে শ্রমিকরা কাজ করলেও ম্যানেজাররা কেউ কাজ করবেন না। তবে ম্যানেজাররা বাগান ছেড়ে কেউ যাবে না। সহকারি ম্যানেজার গোপালবাবুর দাবি, ওই শ্রমিক মদ্যপ অবস্থায় ছিল
তৃণমূল চা শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক অনিরুদ্ধ গোস্বামী বলেন, “ঘটনাটি নিন্দনীয়। ম্যানেজাররা কাজ করবেন না বলে জানিয়েছেন। তবে তারা বাগানেই থাকবেন। এই ঘটনার জন্য বাগানের অন্য শ্রমিকরা অসুবিধেয় না পড়ে সেজন্য কর্তৃপক্ষকে নজর রাখতে হবে।”
বাগানের ডিসিবিডাব্লিইউর সম্পাদক রামু থাপা বলেন, “ওই শ্রমিক মদ্যপ অবস্থায় সহকারি ম্যানেজারের সঙ্গে অভদ্র আচরণ করেছে। ঘটনার প্রতিবাদ করে একদল শ্রমিক তরফে তাঁকে চড় থাপ্পড় মারে অন্যান শ্রমিকরা। ওই শ্রমিক বর্তমানে লতাবাড়ি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy