Advertisement
১১ মে ২০২৪
Coronavirus

ট্রেনে লোক কম কেন, উঠছে প্রশ্ন

শনিবার এনজেপি স্টেশনের আউটার সিগনালে উত্তর-পূর্বগামী একটি ট্রেনের চেন টেনে নেমে পালিয়ে গিয়েছিল ১৫ জন শ্রমিক।

ফেরা: নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে শ্রমিকট্রেনে ফিরেছেন এ রাজ্যের শ্রমিকেরা। নিজস্ব চিত্র

ফেরা: নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে শ্রমিকট্রেনে ফিরেছেন এ রাজ্যের শ্রমিকেরা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২০ ০২:৫০
Share: Save:

দক্ষিণবঙ্গের ট্রেন রাজ্যের অনুরোধে পাঠানো হচ্ছে উত্তরের দিকে। কিন্তু তা এনজেপি পৌঁছচ্ছে কখনও তিন জন বা কখনও চার জন লোক নিয়ে। কেন? রেল সূত্রে দাবি, অনেকে সিগন্যালে বা স্টেশনের আউটার সিগন্যালে ট্রেন দাঁড়ালেও অনেকে নেমে চলে যাচ্ছেন। রুট বদল করা ট্রেনে চেন টানার রেকর্ড না থাকলেও তা থেকে মাঝপথে অনেকেই নেমে গিয়ে থাকতে পারেন বলেও সূত্রের দাবি করেছে। রেলেরই একাংশের বক্তব্য, শনিবার এনজেপি-র আউটারে চেন টেনে ট্রেন থামানোর ঘটনাও ঘটেছিল। যদিও এই নিয়ে সরকারি ভাবে কিছু বলছে না রেল। কিন্তু এর ফলে তৈরি হয়েছে নতুন আশঙ্কা— যদি মাঝপথে নেমে গিয়ে এই শ্রমিকরা সাধারণ জীবনে ঢুকে পড়েন, তা হলে সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

পুরো বিষয়টিতে বিরক্তব পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি নজরদাবি বাড়ানোর দাবি তুলে বলেন, ‘‘নোটিস ছাড়া লকডাউন শুরু করে দেওয়ার ফলেই শ্রমিকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। নোটিস না দিয়ে ট্রেন দাঁড় করানো হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। সেখানে মানুষ নেমে যাচ্ছেন। নজরদারি করতে পারছে না রেল।’’ তিনি জানান, শ্রমিকদের রেল ভাড়া দেবে রাজ্য। তা রেলকে জানানোও হয়েছে। গত কয়েক দিনে দক্ষিণ ভারত এবং দিল্লি থেকে এনজেপি এসেছে অনেকগুলি ট্রেন। কয়েকটি থেকে চেন টেনে নেমে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ। দাবি করা হচ্ছে, শনিবার এনজেপি স্টেশনের আউটার সিগনালে উত্তর-পূর্বগামী একটি ট্রেনের চেন টেনে নেমে পালিয়ে গিয়েছিল ১৫ জন শ্রমিক। পরে পুলিশ তাদের চিহ্নিত করে ধরে কোয়রান্টিন করে। কিন্তু এই অবস্থা চলতে পারে না বলেও জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

এই অভিযোগ অস্বীকার করছেন না রেল কর্তারাও। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, ‘‘উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এলাকায় বাংলার মধ্যে ওই একটিই ঘটনা ঘটেছে। আমরা যথাসম্ভব নজরদারি রাখছি, পুলিশের সাহায্যও চেয়েছি।’’ তবে রেল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ট্রেন রাজ্যের অনুরোধেই গন্তব্যে পাঠানো হচ্ছে। চেন টানার রেকর্ড না থাকলেও এনজেপি ঢুকতে ঢুকতেই ট্রেন প্রায় ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে কেন, সেই প্রশ্নও উঠেছে। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক তিওয়ারি বলেন, ‘‘শ্রমিক ট্রেন চালুর পর থেকে এনজেপি-তে সর্বোচ্চ ২০০ জন একটি ট্রেন থেকে নেমেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE