প্রতীকী চিত্র।
করোনা আক্রান্ত তিন জন রোগীর মৃত্যু হল মালদহে। মৃতদের মধ্যে এক জন জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি, এক জন বর্ষীয়াণ আইনজীবী ও অপর জন গৃহবধূ। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে দু’জনের এবং শুক্রবার ভোরে এক জনের জেলা কোভিড হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১০ জন। এ দিকে, বৃহস্পতিবার রাতে জেলায় নতুন করে আরও ৪৯ জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। তাঁদের মধ্যে ইংরেজবাজার শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ এবং পুরাতন মালদহে ১৫। কালিয়াচক ২ ব্লকেও ১০ জন রয়েছেন। বাকিরা অন্য ব্লকের। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ১৯৬৫।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, জেলায় সংক্রমণ বেড়ে চলার পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও কেন বাড়ছে? তবে কি লকডাউন বিধি ঠিকঠাক মানা হয়নি? নাকি আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা মানুষজনদের ট্রেসিং ও ট্র্যাকিংয়ের কাজ স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সে ভাবে জেলায় হয়নি। জেলার বাসিন্দাদের একাংশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহল জানচ্ছেন, মার্চ মাসের শেষ থেকে এখনও পর্যন্ত চার মাসে দফায় দফায় প্রচুর লকডাউন হয়েছে। তাতে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে, ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া, নানা সামাজিক অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সব করা হয়েছে একটাই কারণে যাতে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু চার মাস পরে দেখা যাচ্ছে দেখা যাচ্ছে, সংক্রমণ বাড়ার পাশাপাশি মৃত্যুও শুরু হয়েছে।
জেলা প্রশাসন বা স্বাস্থ্য দফতর কি তা রুখতে কোনও পরিকল্পনা করছে? ট্রেসিং, ট্র্যাকিং ও নমুনা সংগ্রহের পরিমাণ বাড়িয়ে কি পরীক্ষার ব্যবস্থা হবে? জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘জেলায় লকডাউন কঠোর ভাবে কার্যকর করার চেষ্টা চলছে। পুলিশকে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।’’ এ দিকে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘ট্রেসিং, ট্র্যাকিং ও লালারস পরীক্ষার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একাংশ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। এ সবই বুমেরাং হয়ে আসছে।’’ তবে তাঁর দাবি, ‘‘করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাঁদের ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা বা অন্য জটিল রোগ রয়েছে তাঁদেরই মৃত্যু হচ্ছে।’’
এ দিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে মালদহ মেডিক্যালে পরীক্ষা করতে দিয়েছিলেন জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ বাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। পারিবারিক ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫৫ বছরের ওই নেতা বেশ কিছু দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। ডায়াবেটিসও ছিল তাঁর। বৃহস্পতিবার রাতে ইংরেজবাজার শহরের বিনয় সরকার রোডের ৫৫ বছরের এক মহিলার মৃত্যু হয়। ১৯ তারিখ তাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে এবং তিনি গৃহ নিভৃতভাসে ছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ছাড়া এ দিন ভোর পাঁচটা নাগাদ ৮০ বছরের বৃদ্ধ এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁরও জ্বরের পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy