Advertisement
১০ মে ২০২৪

অশোক-সৌরভ চাপানউতোর

প্রাক্তন এসজেডিএ চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্যের ‘ব্যাপক দুর্নীতির’ কথা প্রকাশ করবেন বলে জানালেন বর্তমান চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী।

অশোক ভট্টাচার্য এবং সৌরভ চক্রবর্তী।

অশোক ভট্টাচার্য এবং সৌরভ চক্রবর্তী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৮ ০২:৩৩
Share: Save:

প্রাক্তন এসজেডিএ চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্যের ‘ব্যাপক দুর্নীতির’ কথা প্রকাশ করবেন বলে জানালেন বর্তমান চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী।

শুক্রবার শিলিগুড়ি পুরসভার ওয়ার্ড পরিদর্শনে গিয়ে একথা জানান সৌরভবাবু। তিনি অভিযোগ করেন, এসজেডিএ চেয়ারম্যান থাকাকালীন অশোক ভট্টাচার্য ব্যাপক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সৌরভবাবু বলেন, ‘‘সেই দুর্নীতি প্রকাশ পেলে রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছা অবসর নেবেন অশোক ভট্টাচার্য।’’ মেয়র অশোক ভট্টাচার্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, ‘‘২০১২-২০১৩ সালের এসজেডিএ-র কোনও অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। সৎ সাহস থাকলে চেয়ারম্যান সৌরভবাবু তা প্রকাশ করুন।’’ তার সময়ে কোনও দুর্নীতি হয়নি বলেও তিনি দাবি করেন।

এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান এদিন পুরসভার ৩৬ এবং ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তা এবং ব্রিজগুলি দেখে সংস্কারের আশ্বাস দেন। এদিন পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জন সরকার, রঞ্জন শীলশর্মা ছাড়াও আরও কয়েকজন কাউন্সিলর এই পরির্দশনে উপস্থিত ছিলেন। ওয়ার্ড পরিদর্শনে গিয়ে সৌরভবাবু অভিযোগ করেন, শিলিগুড়ি পুরসভায় নাগরিক পরিষেবা ভেঙে পড়েছে। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার এক কোটি টাকা দিলেও পুরসভা সেই টাকা ব্যয় না করে রাজনীতি করছে। পুরসভায় এখনও আবর্জনা প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থা নেই। ব্রিজগুলি দীর্ঘদিন সংস্কার হয় না বলে তিনি অভিযোগ করেন। ঘোঘোমালি এলাকার ব্রিজ সংস্কার এবং দ্রুত জড়াপানি নদীর আবর্জনা সাফাইয়ের দাবি জানান সৌরভবাবু। তিনি বলেন, ‘‘পুরসভার মেয়রের অনুমতি ছাড়াই কাউন্সিলরদের নিয়ে এলাকার উন্নয়ন করা যায়। সেই উন্নয়ন দ্রুত চালু হবে।’’ অশোকবাবু জানান, পুর কর্তৃপক্ষকে বাদ দিয়ে পুরসভা এলাকায় উন্নয়ন করতে পারে না এসজেডিএ। পুর আইনে কোথাও তা লেখা নেই বলে তিনি জানান। অশোকবাবু দাবি করেন, ‘‘পুরসভা এলাকায় উন্নয়ন করতে হলে পুর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। তা না করে সৌরভবাবু নিজের ক্ষমতার বলে যা ইচ্ছে তাই করতে চাইছেন। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো মানতে চাইছেন না।’’

এই চাপানউতর সম্পর্কে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান দেবদ্রত মিত্র জানান, ‘‘রাজনৈতিক কারণে একদল আর-এক দলকে দোষারোপ করতেই পারে। সেটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু যখন দু’টি দল, দুই ক্ষেত্রে শাসকের ভূমিকা নেয়, তখন উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে ন্যূনতম সমন্ময় থাকা জরুরি। না হলে নাগরিক পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE