প্রতীকী ছবি
আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই কোচবিহারের কোভিড হাসপাতালের পরিকাঠামো আরও উন্নত করার ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু হল। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারের চকচকায় চালু ‘কোভিড’ হাসপাতালটির মানোন্নয়ন করে ওই ব্যবস্থা গড়ে তোলার ব্যাপারে স্বাস্থ্য দফতরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ওই কাজ সম্পন্ন হলে চকচকার হাসপাতালটি কোভিড ৩ ও ৪ স্তরভুক্ত হবে। সেক্ষেত্রে ওই হাসপাতালেই করোনা পজ়িটিভ রোগীদের ভর্তি করানো যাবে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “জেলাশাসক ওই ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছেন।” কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বলেন, “চকচকার হাসপাতালটিকেই তৃতীয়, চতুর্থস্তরে কোভিড হাসপাতালে উন্নীত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।”
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারের চকচকা এলাকায় আগেই কোভিড হাসপাতাল রয়েছে। কিন্তু ওই হাসপাতালটির চিকিৎসা পরিকাঠামো কোভিড ১ এবং ২ স্তরের। মূলত পরীক্ষা না হওয়া সন্দেহভাজন, নেগেটিভ রিপোর্ট আসা রোগীদের শারীরিক সমস্যার অবস্থা অনুযায়ী সেখানে দু’টি স্তরে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ হলে তাঁদের অবশ্য কোভিড ৩ ও ৪ স্তরের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এ দিকে, জেলায় ওই হাসপাতাল না থাকায় আক্রান্তদের শিলিগুড়ির হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। কোচবিহার থেকে পাঠানো নমুনার রিপোর্ট পজ়িটিভ হওয়ায় বাংলাদেশের এক বাসিন্দাকে কিছুদিন আগে সেখানে পাঠানো হয়। শুক্রবার একসঙ্গে জেলার ৩২ জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসায় তাঁদেরও সেখানেই পাঠাতে হয়। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কোচবিহার থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে শিলিগুড়িতে রোগী নিয়ে যাওয়া বেশ ঝক্কির ব্যাপার। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও প্রশাসনের বহু কর্তা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সেই কারণেই চকচকার হাসপাতালের পরিকাঠামোর ব্যাপারে আরও জোর দেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসা রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলে কোভিড ৩ ও ৪ স্তরের হাসপাতাল গড়ে তোলার কাজ সম্পূর্ণ হলে জেলার নতুন এলাকায় কোভিড ১, ২ স্তরের হাসপাতাল চালু করা হবে। দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘চকচকার হাসপাতালে ১২০টি শয্যার ব্যবস্থা করা যাবে।’’ কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”
প্রশাসনের এক কর্তা জানান, প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জেলায় হাসপাতাল সংক্রান্ত ওই পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন করারও চেষ্টা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy