মোমের শিখায় সুমন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্মরণ জলপাইগুড়ির পাহাড়িপাড়ার বাসিন্দাদের। বুধবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী সুমন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন জলপাইগুড়ি শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ড পাহাড়িপাড়ার বাসিন্দারা। রবিবার সকালে কলকাতার আরপুলি লেনের বাড়ি থেকে পদার্থবিদ্যায় এমএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী সুমন্তিকার দেহ উদ্ধার হয়। বুধবার সন্ধ্যায় কদমতলা দুর্গাবাড়ি ক্লাব প্রাঙ্গণে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর আয়োজন হয়।
সুমন্তিকার রহস্য মৃত্যু নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে এ দিন সন্ধ্যায় শহরে পথসভা করে গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন। উপাচার্য গত সোমবার সুমন্তিকার রহস্য মৃত্যুর পিছনে মাদক যোগের কথা বলেন। এ দিনই ওই ছাত্রীর পরিবার এবং পড়শিরা জানান, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ফ্যাক্স পাঠিয়ে দ্রুত তদন্ত শেষ করার দাবি জানিয়েছেন।
এ দিন কদমতলা দুর্গাবাড়ি ক্লাব প্রাঙ্গণে শ্রদ্ধার জানানোর অনুষ্ঠান হয়। সেখানে বাসিন্দারা অনেকেই গত পুজোতেও সুমন্তিকাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন। পাড়ায় সুমন্তিকাকে রিয়া নামেই চেনে সকলে। ক্লাব সদস্য মৌসম ঘোষ জানান, পুজোর বিভিন্ন কাজ নিজে হাতে করতেন রিয়া। তিনি ছিলেন পাড়ার গর্ব। এ দিন বধূ থেকে স্কুলছাত্রী সুমন্তিকার ছবির সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের সামলে রাখতে পারেননি। বাড়িতে ছিল শ্রাদ্ধশান্তির অনুষ্ঠান। পড়শিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে চলে যান ক্লাব প্রাঙ্গণে।
দুর্গাবাড়ি প্রাঙ্গণে যখন চলছে শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠান, একই সময় তখন কদমতলায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের সমর্থকরা। তাঁদের অভিযোগ, “তদন্ত শেষ হওয়ার আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুমন্তিকার রহস্য মৃত্যুর পিছনে মাদক যোগের কথা বলে জলপাইগুড়িকে অপমান করেছেন।” সংগঠনের জেলা সভাপতি কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আপত্তিজনক মন্তব্য করে যাদবপুরের উপাচার্য জলপাইগুড়ির মর্যাদাকে ভুললুণ্ঠিত করার চেষ্টা করেছেন। সুমন্তিকা শুধু শহর নয়, জেলার গর্ব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy