Advertisement
০৮ মে ২০২৪

পেটের রোগে অসুস্থ ৩৫ জন 

সোমবার থেকে ওই গ্রামের বেশ কয়েকজন পেটের রোগে আক্রান্ত হন। মঙ্গলবার রোগের প্রকোপ বাড়ে গ্রামে। তারপরেই তাঁরা স্থানীয় হলুদকানালি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বহির্বিভাগে চিকিৎসা করান।

বড়গড়া গ্রামে মেডিক্যাল টিম। নিজস্ব চিত্র।

বড়গড়া গ্রামে মেডিক্যাল টিম। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রানিবাঁধ শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৫৮
Share: Save:

বাঁকুড়ার রানিবাঁধের বড়গড়া গ্রামে পেটের রোগে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩৫ জন বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে চার জনকে খাতড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকিরা স্থানীয় হলুদকানালি প্রাথ‌মিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বহির্বিভাগে চিকিৎসা করিয়েছেন। বুধবার রানিবাঁধ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ওই গ্রামে চিকিৎসকদের দল গিয়ে আক্রান্তদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেন। রানিবাঁধের বিএমওএইচ অরূপকুমার পান্ডা জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সোমবার থেকে ওই গ্রামের বেশ কয়েকজন পেটের রোগে আক্রান্ত হন। মঙ্গলবার রোগের প্রকোপ বাড়ে গ্রামে। তারপরেই তাঁরা স্থানীয় হলুদকানালি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বহির্বিভাগে চিকিৎসা করান। তাতে অনেকে সেরে ওঠেন। কিন্তু চার জন বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁদের খাতড়া হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।

বড়গড়া গ্রামের বাসিন্দা পেটের রোগে অসুস্থ চুনারাম সোরেন, নগেন্দ্র সোরেন বলেন, ‘‘সোমবার বেলার দিক থেকে হঠাৎ ঘন ঘন পায়খানা শুরু হয়। গ্রামের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। বাড়িতে রাখলে যদি সমস্যা বাড়ে, তাই ঝুঁকি না নিয়ে পরিবারের লোকজন আমাদের খাতড়া হাসপাতালে ভর্তি করেছে।’’ বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সদস্য চিত্তরঞ্জন মাহাতো, স্থানীয় বাসিন্দা শান্তিপদ মাহাতো জানান, আদিবাসী অধ্যুষিত ওই গ্রামে প্রায় ২১টি পরিবারের বাস। তার মধ্যে ১১টি পরিবারের কমবেশি সকলেই পেটের রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সব মিলিয়ে অসুস্থের সংখ্যা প্রায় ৩৫ জন।

রানিবাঁধের বিএমওএইচ জানান, গ্রামবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে এ দিন সকালে তিনি নিজে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আরও তিন-চার জন কর্মীকে নিয়ে ওই গ্রামে যান। পরীক্ষা করে অসুস্থদের কিছু ওষুধপত্রও দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, বাসিন্দারা যে জল পান করেন, তা কোনও ভাবে দূষিত হয়ে পড়ায় পেটের গোলমাল হয়েছে।’’

স্বাস্থ্যকর্মীরা জানাচ্ছেন, গ্রামবাসীরা যে নলকূপের জল পান করেন, তার কাছেই একটি পরিত্যক্ত কুয়ো রয়েছে। সম্প্রতি ক’দিনের টানা বৃষ্টিতে ওই কুয়োতেও জল জমেছে। সেই কুয়োর নোংরা জল কোনও ভাবে নলকূপের জলে মিশে যাওয়ায় এই বিপত্তি হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান তাঁদের। নলকূপের জল সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Health Diseased
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE