উধাও: পড়ে শুধু কাঠামো। বুধবার তারাপীঠে। নিজস্ব চিত্র
বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ আজ, বৃহস্পতিবার তারাপীঠে পৌঁছনোর আগেই ‘চুরি’ হয়ে গেল তাঁর বড় বড় কাটআউট। দলের বীরভূম জেলা নেতৃত্বের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতের অন্ধকারে মনসুবা ও কড়কড়িয়া মোড়, বড়শাল, তারাপীঠ এলাকা থেকে সব মিলিয়ে অন্তত পঞ্চাশটি ফ্লেক্স-ফেস্টুন-কাটআউট চুরি হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে তৃণমূলকে দুষলেও, পুলিশের কাছে ‘কে বা কারা চুরি’ করেছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্ব সে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। ঠিক কী হয়েছে জানতে তদন্ত শুরু করেছে তারাপীঠ পুলিশ।
বিজেপি সূত্রের খবর, ‘হেভিওয়েট’ নেতার জন্য ছয় বাই তিন ফুটের কাটআউটগুলি রামপুরহাট-সাঁইথিয়া রাস্তার দু’ধারে বাঁশ বেঁধে টাঙানো হয়েছিল। রাপীঠে সরস্বতী শিশু মন্দিরে নেমে ওই পথ ধরেই তারাপীঠ যাওয়ার কথা শাহের। দিন কয়েক আগে সেই পথই দলের ফ্লেক্স-এ মুড়ে দিয়েছিল রাজ্যের শাসকদল। প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তার দু’পাশে কোথাও দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি, কোথাও তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। সব মিলিয়ে অন্তত শ’চারেক ফ্লেক্স, ফেস্টুন ছিলই। দ্রুত প্রচারে নামে বিজেপিও। শাহের যাত্রাপথ তো বটেই, শহরের অন্য জায়গাতেও ফ্লেক্স-ফেস্টুন-কাটআউট দেওয়া হয়। ‘চুরি’ গিয়েছে তার কিছুই।
বিজেপি-র বীরভূম জেলা পর্যবেক্ষক সমীরণ সাহা অভিযোগ, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিতে আসছেন এ কথা জানা মাত্র তৃণমূল এলাকা দখলের রাজনীতিতে নেমেছে। মঙ্গলবার বিকেলে অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাটআউট টাঙানো হয়েছিন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বুধবার সকালে দেখা যায় ৩০০ কাটআউটের মধ্যে ৫০টির বেশি কাটআউট বেমালুম উধাও। কাটআউট টাঙানোর বাঁশগুলিও চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই এর সঙ্গে যুক্ত।’’
তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য সে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দলের রামপুরহাট ২ ব্লক সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায়ের জবাব, ‘‘বড়শালে মুখ্যমন্ত্রীর কাটআউট ব্লেড দিয়ে ছিঁড়ে দিয়েছে বিজেপি। আমরা অভিযোগ করলে বিজেপির নেতারা বিবৃতি দিয়েছিলেন, প্রচার করার জন্য আমরা নাকি এ সব করেছি। এখন আমরাও বলছি, বিজেপি প্রচারের উদ্দেশেই নাটক করছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘বছরভর মানুষের পাশে থাকি। আমাদের ফ্লেক্স চুরি করতে বা ছিঁড়ে দিতে হয় না।’’ পুলিশ জানিয়েছে, অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy