Advertisement
১১ মে ২০২৪
Coronavirus

এ বার লক-ডাউন গোটা জেলাতেই

আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এ দিন সকাল থেকেই জেলার সব বাজার ও দোকানে খাদ্যদ্রব্য-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুত করার হিড়িকে ভিড় উপচে পড়েছিল।

সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দোকান বন্ধ করছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র

সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দোকান বন্ধ করছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২০ ০২:২৭
Share: Save:

প্রথমে জানা গিয়েছিল, জেলার শুধু ছ’টি পুরসভা এলাকায় ‘লক-ডাউন’ হবে। পরে অবশ্য করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় গোটা বীরভূম জেলাতেই ‘লক-ডাউন’ ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। সোমবার বিকেল ৫টায় তা বলবৎ হয়েছে। চলবে ২৭ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত। এই ‘লক-ডাউন’-এর সময় ওষুধ, মুদিখানা, আনাজ দোকান, ফল, মাছ, মাংস, পাউরুটি এবং দুধের দোকান ছাড়া বাকি সব ধরনের দোকান বন্ধ থাকার নির্দেশ রয়েছে।

আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এ দিন সকাল থেকেই জেলার সব বাজার ও দোকানে খাদ্যদ্রব্য-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুত করার হিড়িকে ভিড় উপচে পড়েছিল। এমনকি, বোলপুর, সিউড়ি, রামপুরহাট, সাঁইথিয়া, দুবরাজপুর, নলহাটি-সহ জেলার গ্রামাঞ্চলে বিকেল ৫টার পরেও সোনা বা কাপড়ের দোকান, মিষ্টির দোকান, স্টেশনারি দোকান, মদের দোকান খোলা ছিল। রাস্তায় ছিলেন অনেক মানুষ। কোথাও কোথাও পুলিশ-প্রশাসন দোকানগুলি বন্ধ করে দেয়। কোথাও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ছবি তোলার পরে ব্যবসায়ীরাও দোকান বন্ধ করে দেন।

জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, ‘‘গোটা জেলায় লক-ডাউনের এটাই প্রথম দিন। ফলে, কোথাও কোথাও একটু সমস্যা হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছে। এর পরেও যদি দেখা যায়, লক-ডাউনের নির্দেশ মানা হচ্ছে না, তা হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

তবে, উদ্বেগের বিষয়, সচেতনতার অভাব। ৫টার পরেও সিউড়ি শহরের সোনাপট্টি এলাকায় সোনার দোকানগুলি খোলা ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় পৌঁছে দোকান বন্ধ করে দিতে গেলে এলাকায় পুলিশ কেন এল, তা দেখতে জমায়েত শুরু হয়। কেউ কেউ পুলিশ চলে যাওয়ার পরে ফের দোকান খোলেন। সিউড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক কিশান পাল বলেন, ‘‘আমরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে সরকারি নির্দেশিকা সকলকে মেনে চলার জন্য বলেছি। শহরে প্রচার চালিয়েছি। এর পরেও কোনও ব্যবসায়ী দোকান খোলা রাখলে পুলিশ-প্রশাসন যা করার করবে।’’

রামপুরহাট শহরের দেশবন্ধু রোডে একটি মদের দোকান সাড়ে পাঁচটার পরে বন্ধ করা হয়। শহরের অলিতে-গলিতে টোটো চলাচল বিকেল পাঁচটার পরেও চালু ছিল। রামপুরহাট শহর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক কার্তিক প্রসাদ বলেন, ‘‘ব্যবসায়ী থেকে ক্রেতাদের সচেতন করার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের নিজেদের হোয়াটস গ্রুপে সকলকে সরকারি নির্দেশ মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে। তার পরেও কেউ নিময় না মানলে কী করার আছে?’’

বোলপুর শহরে বেশ কিছু মিষ্টির দোকান বিকেল ৫টার পরে খোলা থাকার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বন্ধ করে দেয়। বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুনীল কুমার সিংহ জানান, বোলপুর শহরে প্রায় সমস্ত দোকান সরকারি নির্দেশিকা মেনে বন্ধ ৫ টার মধ্যে বন্ধ করে দিয়েছে। দুবরাজপুর, সাঁইথিয়া শহরে জরুরি পরিষেবা বাদে বাকি দোকান বন্ধ ছিল। দুই শহরেই যানবাহন চলাচল ৫ টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। নলহাটি পুর-এলাকায় ৫টার পরেও সোনার গয়না, কাহড়-সহ নানা দোকান খোলা ছিল। পুরপ্রধান রাজেন্দ্র প্রসাদ সিংহ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ-প্রশাসন দোকানগুলি বন্ধ করে দিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE