মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ
আজ, বৃহস্পতিবার সিউড়ি আসার কথা রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ এবং বিদ্যুৎসচিব এস সুরেশ কুমারের। তাঁদের সঙ্গে থাকবে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের এক প্রতিনিধিদল। অন্য দিকে, মুখ্যসচিব ডেউচা-পাঁচামি এলাকায় গেলে তাঁদের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের দাবিদাওয়া সংক্রান্ত একটি চিঠি তাঁর হাতে তুলে দিতে চান বলে জানিয়েছেন আদিবাসী গাঁওতার নেতারা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মুখ্যসচিব জেলায় আসছেন মূলত ডেউচা-পাঁচামি কয়লাখনি সংক্রান্ত বৈঠক করার জন্য। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে তাঁর হেলিকপ্টার সিউড়ির চাঁদমারি ময়দানে নামার কথা। সেখান থেকে তাঁদের যাওয়ার কথা প্রশাসন ভবনে। সেখানে জেলার পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে খোলামুখ কয়লাখনি নিয়ে একটি বৈঠক করবেন। এই নিয়ে বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বুধবার বলেন, ‘‘উনি (মুখ্যসচিব) আসছেন, সেটা আপাতত নিশ্চিত। উনি এখানে এসে একটি বৈঠক করবেন।’’ জেলা প্রশাসনেরই একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, বৈঠক সেরে মুখ্যসচিব-সহ আধিকারিকেরা ডেউচা-পাঁচামি এলাকা পরিদর্শনে যেতে পারেন। যদিও সেটা প্রশাসনিক আধিকারিকেরা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।
অন্য দিকে, মুখ্যসচিব-সহ প্রতিনিধিদল ডেউচা-পাঁচামি এলাকা পরিদর্শনে গেলে তাঁদের কাছে একটি স্মারকলিপি দেবেন বলে দাবি করেছে আদিবাসী গাঁওতা। সংগঠনের নেতাদের দাবি, আগামী দিনে এই এলাকায় কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু হতে চলছে, সেই নিয়ে সরকারি কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। গাঁওতার নেতা সুনীল সরেন বলেন, ‘‘এলাকার মানুষ নতুন করে উন্নয়নের নামে উচ্ছেদ হতে চান না। আমাদের বক্তব্য, স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা না করে কোনও ভাবেই কয়লা উত্তোলন করা যাবে না। অন্যথা হলে এলাকার মানুষ সরকারের আগ্রাসন নীতির গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন সংগঠিত করবে।’’ তাঁর আরও দাবি, এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হয়নি সরকারের তরফে। মুখ্যসচিব এলে তাঁরা বিভিন্ন দাবিদাওয়ার ভিত্তিতে তাঁর হাতে চিঠি দেবেন। জেলাশাসক যদিও বলেছেন, ‘‘এটি একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক। এতে আগ্রাসনের কোনও ব্যাপার নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy