Advertisement
১১ মে ২০২৪

শিলাবৃষ্টিতে ভাঙল চালা, পুরুলিয়ায় আহত নয়

ধেয়ে এল ঝড়। তারপরেই নামল শিলাবৃষ্টি। রবিবার বিকেলে প্রায় মিনিট পনেরো ধরে শিলাবৃষ্টি হল পুরুলিয়ায়। শিলার আঘাতে পুরুলিয়া শহর ও লাগোয়া এলাকায় প্রচুর ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেকে শিলার আঘাতে আহত হন। এ দিন রাত পর্যন্ত পুরুলিয়া সদর হাসপাতালেই ন’জনকে চিকিৎসা করতে নিয়ে আসা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৫ ০১:৩১
Share: Save:

ধেয়ে এল ঝড়। তারপরেই নামল শিলাবৃষ্টি। রবিবার বিকেলে প্রায় মিনিট পনেরো ধরে শিলাবৃষ্টি হল পুরুলিয়ায়। শিলার আঘাতে পুরুলিয়া শহর ও লাগোয়া এলাকায় প্রচুর ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেকে শিলার আঘাতে আহত হন। এ দিন রাত পর্যন্ত পুরুলিয়া সদর হাসপাতালেই ন’জনকে চিকিৎসা করতে নিয়ে আসা হয়।

এ দিন সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় আকাশ মেঘলা করে ছিল। পরে রোদের দেখাও মেলে। কিন্তু শেষ বিকেলে হঠাৎ আকাশ কালো করে ঝড় শুরু হয়। সেই সঙ্গে নামে শিলা বৃষ্টি। দিনভর গরমের মধ্যে অস্বস্তিতে থাকার পরে ঝড় দেখে অনেকে বাড়ির বাইরে বেড়িয়ে আসেন। কিন্তু শিলা বৃষ্টি শুরু হতেই সবাই পড়িমড়ি করে বাড়ি বা কোনও ছাউনির সন্ধানে দৌঁড়োন। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেকে রক্ষা পাননি।

শিলার আঘাতে অ্যাসবেস্টেসের ছাউনি ভেঙে পড়ে। সেই টুকরোতেও অনেকে আঘাত পেয়েছেন। যেমন পুরুলিয়া শহরের তেলকল পাড়ার বাসিন্দা আরতি রাজোয়াড় ঘরের ভিতরে ছিলেন। তাঁর মাথায় অ্যাসবেস্টসের ভাঙা টুকরোর আঘাত লেগেছে। তাঁকে রাতে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসতে হয়। বিভিন্ন বাড়ির জানালার কাচও ভেঙে যায় শিলার আঘাতে।

যাঁরা বাড়ির বাইরে ছিলেন, তাঁদের অবস্থা আরও খারাপ। পুরুলিয়া মফস্্সল থানার বেলকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা প্রৌঢ় রেণু বাউরি বলেন, ‘‘ঝড়যখন উঠেছিল, তখন আমি পুকুরে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফেরার পথে প্রচণ্ড হাওয়ায় ছিটকে পড়ি। আমার সারা শরীরে শিল পড়ছিল। কিন্তু বাঁ চোখে শিলের খুব আঘাত লেগেছে। কোনও ভাবে দৌড়ে পালিয়ে মাথা বাঁচাই।’’ নামোপাড়ার বাসিন্দা পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় উঠোনে কাজ করছিলেন। শিল ছিটকে তাঁর কপালে লেগেছে। এমনই ন’জনকে এ দিন রাতে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

অন্যদিকে এ দিন হুড়া থানার কেশরগড়, জবড়রা এই দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়েও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। কেশরগড়ের কুদলুং গ্রামের বাসিন্দা রঞ্জিত মাহাতো ও মথুর মাহাতো বলেন, ‘‘আমাদের গ্রামের বেশির ভাগ অ্যাসবেস্টস ও টালির চালা ভেঙে গিয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গিয়েছে হুড়া এলাকা থেকেও। অযোধ্যা পাহাড়েও এ দিন শিলাবৃষ্টি হয়। শিলাবৃষ্টির পরে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোডশেডিংয়ের খবর মিলেছে। দিনভর গরম থাকলেও বৃষ্টির পরে তাপমাত্রা নেমে যায়। তাতে অবশ্য কিছুটা স্বস্তি ফেরে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE