হাতে-কলমে: বান্দোয়ানে চলছে ক্লাস। নিজস্ব চিত্র
রাজ্য সরকার সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, নিখরচায় জয়েন্ট এন্ট্রান্স প্রবেশিকার প্রশিক্ষণ দেবে। বান্দোয়ানে ইতিমধ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের সঙ্গে ডব্লিউবিসিএস, ইউপিএসসি, ব্যাঙ্কিং, রেলওয়ে, এসএসসি-র প্রশিক্ষণ দেওয়াও শুরু হয়েছে। সৌজন্যে বান্দোয়ান ব্লক প্রশাসন।
বিডিও (বান্দোয়ান) শুভঙ্কর দাসের কথায়, ‘‘এই এলাকার ছেলেমেয়েদের মধ্যে প্রতিভার অভাব নেই। তাঁরা পরিশ্রমীও। কিন্তু উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং ঠিকঠাক ‘গাইড’ না পাওয়ায় তাঁরা সরকারি চাকরির লক্ষ্য ভেদ করতে পারছেন না। আমি কয়েকজন সতীর্থকে নিয়ে তাঁদের প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করেছি।’’
জয়েন্ট বিডিও (বান্দোয়ান) শুভাশিস ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘প্রত্যন্ত এলাকার প্রতিভাসম্পন্ন ছেলেমেয়েরা শুধুমাত্র সুযোগের অভাবে কেন পিছিয়ে থাকবেন? আশপাশের ব্লক প্রশাসনিক আধিকারিকেরা তো বটেই, জেলা সদর থেকেও এই কেন্দ্রে পাঠ দিতে অনেকেই আসছেন।’’
রীতিমতো নিয়ম মেনে বাছাই করা হয়েছে। ব্যানার টাঙিয়ে ও প্রচারপত্র ছড়িয়ে আবেদন সংগ্রহের পরে পরীক্ষার মাধ্যমে উপযুক্ত শিক্ষার্থী বাছাই করা হয়েছে। প্রায় আড়াইশো জন প্রশিক্ষণে ইচ্ছুকদের মধ্যে একশো জন সফল হন। ব্লক অফিসের সভাগৃহে প্রতি শনিবার দুই পর্বে প্রশিক্ষণ চলছে। দেড় ঘণ্টা ক্লাস চলছে। বান্দোয়ান ছাড়াও মানবাজার ১ ও ২ এবং বরাবাজার ব্লক থেকেও শিক্ষার্থীরাও আসছেন।
তাঁদের মধ্যে জিতকার হাঁসদা, তপতী মাহাতো বলেন, ‘‘নামী প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নেওয়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য আমাদের নেই।’’ মলয় দাস, পূরবী মাহাতোদের মতো শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘‘কোনও খরচ ছাড়াই এই ধরনের প্রশিক্ষণ পাওয়া আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো।’’ জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায়ের মতে, ‘‘একগুচ্ছ সদ্য ডব্লুবিসিএস পাশ করা আধিকারিকেরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। এর থেকে ভাল আর
কী হয়!’’
প্রশাসনিক কাজের ফাঁকে আশপাশের কিছু এলাকায় আধিকারিক ও পুলিশ-কর্তাদের উদ্যোগে এই ধরনের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। বিষ্ণুপুরে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট জীবনকৃষ্ণ বিশ্বাস, নীলাঞ্জন তরফদারের উদ্যোগে সরকারি চাকরির প্রশিক্ষণ চলছে। পুলিশের ‘সোপান’ প্রকল্পে বিষ্ণুপুর, খাতড়ায় ছেলেমেয়েদের এমনই প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy