জলাধারে ভিড়। নিজস্ব চিত্র।
মরসুমের ভিড়ের ‘রেকর্ড’ ছাপিয়ে গেল নতুন বছরের প্রথম রবিবার। গাড়ি আর মানুষে থিকথিক করল মুকুটমণিপুর। বড়দিন বা ১ জানুয়ারির থেকে অন্তত দেড়গুণ ভিড় এ দিন হয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্য-বিধি মানার ব্যাপারে বেশ শিথিলতা চোখে পড়েছে। মুকুটমণিপুর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতি ও নৌকা বিহার সমবায় সমিতির সদস্যদের অনেকে অবশ্য জানাচ্ছেন, এ বার ভিড় কমতে থাকবে। মকর সংক্রান্তি পর্যন্ত, ছুটির দিনগুলি বাদে আর পিকনিকের ধুম থাকবে না।
এ দিন সকাল থেকে জলাধার লাগোয়া জায়গাগুলিতে ছিল থিকথিকে ভিড়। ঝাড়গ্রামের রামগড় থেকে মুকুটমণিপুরে এসেছিলেন রামচন্দ্র পাত্র ও সুজয় পাত্র। তাঁরা বলেন, ‘‘সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ পৌঁছে দেখি, পুরো জায়গা ভরে গিয়েছে। প্রায় আধ কিলোমিটার দূর গিয়ে পিকনিক করতে হয়েছে।’’ পুলিশের হিসাবে, ১ জানুয়ারি মুকুটমণিপুরে ভিড় হয়েছিল হাজার কুড়ি লোকের। রবিবার সেই সংখ্যা তিরিশ হাজার ছাড়িয়েছে।
খাতড়া থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানান, প্রায় দু’শো বাস আর আঠারোশোর কিছু বেশি ছোট গাড়ি এসেছিল। ভিড় সামাল দিতে রাখা হয়েছিল সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশকর্মী মিলিয়ে ২৩০ জনকে। তবে প্রচুর মানুষ শুধু পুলিশের সামনে মাস্ক পরে অন্য সময়ে পকেটে রেখে ঘুরেছেন।
মুকুটমণিপুর হোটেল ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুদীপ সাহু ও সহ সভাপতি সঞ্জীব দত্ত জানান, করোনার পরিস্থিতির জন্য গত মার্চ থেকে পুজোর আগে পর্যন্ত একেবারে ব্যবসা হয়নি। পুজোর পর থেকে একটু একটু করে পর্যটকেরা আসতে শুরু করেছেন। তাঁরা জানান, আগামী রবিবার পর্যন্ত অনেক হোটেল লজ ভর্তি হয়ে রয়েছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিপুল সাহু বলেন, ‘‘করোনার জন্য লোক হবে না ভেবেছিলাম। কিন্তু জানুয়ারিতে বেচাকেনা ভালাই হয়েছে। এই সময়টার পরে অবশ্য সে ভাবে আর ভিড় হয় না।’’ একই অভিজ্ঞতা নৌকা বিহার সমবায় সমিতির সভাপতি তারাপদ সিং সর্দারের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy