অন্য পেশায়। নিজস্ব চিত্র
মাস তিনেক বন্ধ ট্রেন। তাই ট্রেনের সঙ্গে যে সব মানুষের রুজি-রোজগার জড়িয়ে গভীর সঙ্কটে তাঁরাও। তাঁদের মধ্যেই রয়েছেন ট্রেনের হকারেরা। রোজগার বন্ধ বলে সেই হকারেরা কেউ করছেন রাজমিস্ত্রির কাজ, কেউ করছেন ফল বিক্রি। কেউ আবার দিনমজুরি করে সংসার চালাচ্ছেন।
লকডাউনের জন্য ট্রেন বন্ধ হয়ে যেতেই রোজগারও বন্ধ হয়ে যায় হকারদের। টানা লকডাউনে জমানো পুঁজিও শেষের পথে। তাই বাধ্য হয়েই অন্য পেশা বেছে নিতে হচ্ছে বোলপুরের বাসিন্দা ওই হকারদের। প্রথম দিকে সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন সংস্থা ও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে দেওয়া খাদ্যসামগ্রীতেই কোনও রকমে সংসার চলছিল। তারপরে অন্য পেশা বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
বোলপুরের বিবেকানন্দ পল্লির বাসিন্দা আনন্দ দাস ট্রেনে চা বিক্রি করতেন। এখন দিনমজুরের কাজ শুরু করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘রোজগার বন্ধ। কবে সব স্বাভাবিক হয়ে ট্রেন চলবে জানি না। সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে এই পেশায় আসতে হয়েছে।’’ এতদিন ট্রেনে ঝালমুড়ি বিক্রি করে যা উপার্জন হতো তাতে কোনও রকমে সংসার চলে যেত বোলপুরের শুড়িপাড়ার বাসিন্দা চন্দন রামের। কিন্তু এখন বাধ্য হয়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন তিনিও। লকডাউন শুরুর দু’মাস পর থেকেই রাজমিস্ত্রির কাজ শুরু করেন চন্দন।
একই অবস্থা শুড়িপাড়ারই বিশ্বদেব দাসের। তিনিও ট্রেনে চা বিক্রি করে এতদিন সংসার চালিয়ে এসেছেন। এখন বাধ্য হয়ে রাস্তার মোড়ে বসে ফল বিক্রি শুরু করেছেন। তিনি জানান, বোলপুর শহরতলিতে প্রায় ২০০ জনের বেশি হকার রয়েছে। রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংসার চালানোর জন্য যে যার মতো অন্য পেশা বেছে নিতে শুরু করি। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের আবেদন এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন যেন আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy