Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

দিল্লি ডায়েরি

রঞ্জিত পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের অফিসার। তাঁর সিবিআই-তে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সরকার তাঁকে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের ডিজি করেছেন। কিছু দিনের মধ্যেই তাঁকে ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি)-এর প্রধানও করা হয়।

শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৭ ০৬:০০
Share: Save:

রঞ্জিতের কাঁধে কি নতুন দায়ভার

ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের প্রধান রঞ্জিত পচনন্দার জীবনে কি ফের পদোন্নতি? ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি-র (এনআইএ) প্রধান শরদ কুমার হরিয়ানা ক্যাডারের অফিসার। নভেম্বরে তাঁর অবসর। ইতিমধ্যেই এক বার এক্সটেনশন পেয়েছেন। রঞ্জিত পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের অফিসার। তাঁর সিবিআই-তে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সরকার তাঁকে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের ডিজি করেছেন। কিছু দিনের মধ্যেই তাঁকে ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি)-এর প্রধানও করা হয়। সম্প্রতি বিজ্ঞান ভবনে রাজনাথ সিংহ আইটিবিপি-র অনুষ্ঠানে এসে খুব খুশি হন রঞ্জিতের বন্দোবস্ত দেখে। সেখানেই গুঞ্জন, রঞ্জিতের ভাগ্যে এ বার এনআইএ-র শিকে ছিঁড়ছে! সরকার এজেন্সির কাজে যোগ্য লোক খুঁজছেন, চাইছেন সরকার-ঘনিষ্ঠ ও অনুগত কাউকে। রঞ্জিত সম্ভবত প্রশ্ন এড়াতেই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের দেখেই উলটো মুখে হাঁটলেন!

কেমন আছেন তিনি

ঠিকানা বদলের পর নামমাত্র বাইরে পা রেখেছেন। সকালে মর্নিং ওয়াক সেরে ফিরছেন নিজের কামরায়। অনেকটা সময়ই কাটছে পড়াশোনায়। বাইরে যেতে এখনও এতটাই অনীহা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের, যে রাষ্ট্রপতি ভবনে ১৫ অগস্টের অনুষ্ঠানে গেলেন না। গত পাঁচ বছর তিনিই ছিলেন অনুষ্ঠানের মধ্যমণি। এ বছর নিয়ম মেনে তাঁকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সাড়া দেননি প্রণব। দীর্ঘ প্রশাসনিক জীবনে যখন যে মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন, সাধারণত আর সেখানে দেখা যায়নি তাঁকে। রাজনৈতিক মহলের গুঞ্জন, এই নিয়মের ব্যতিক্রম হবে না এ ক্ষেত্রেও!

মোদীর কাছে হুদা

হরিয়ানার প্রাক্তন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ হুদা হঠাৎ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করলেন কেন? এক বার নয়, দু-দু’বার বৈঠক করলেন মোদীর সঙ্গে। হুদার বিরোধীরা বলছেন, এ বার তিনিও বিজেপির পথে। হরিয়ানায় শাসক বিজেপির অবস্থা খারাপই ছিল, এখন তো রীতিমত সংকট। এ দিকে নানান দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় রাহুল গাঁধী হুদাকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। জাঠ নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা ও অন্য কংগ্রেস নেতাদের বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তবে কি হুদা কংগ্রেসে নিজের বাজারদর বাড়ানোর জন্য এ সব করছেন? না কি সত্যি সত্যিই তিনি যেতে পারেন বিজেপিতে? ২৪ আকবর রোডে জল্পনা তুঙ্গে।

জিমখানা ক্লাবে রাহুল

দিল্লির জিমখানা ক্লাবে হঠাৎ দেখা গেল রাহুল গাঁধীকে। প্রাচীন এই ক্লাবের প্রাইভেট ডাইনিং রুমে মধ্যাহ্নভোজনে এসেছেন তিনি, অতিথি হয়ে। আমন্ত্রণ করেছিলেন প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী মণীশ তিওয়ারি। মধ্যাহ্নভোজনের ব্যবস্থা হয়েছিল অবশ্য বিদেশি এক অতিথির সম্মানে। আমেরিকার মিডিয়া গোষ্ঠী আটলান্টিক কাউন্সিল— ‘দি আটলান্টিক’, ‘কোয়ার্টজ’, ‘ন্যাশনাল জার্নাল’-এর মতো ব্র্যান্ডের যাঁরা মালিক— তাঁদের প্রধান কার্যনির্বাহী আধিকারিক ফ্রেড কেম্পে এসেছিলেন। মণীশ তাঁদের সম্মানিত ‘সিনিয়র ফেলো’, তাই ফ্রেড দিল্লি আসায় মণীশ বেশ কয়েক জন সাংসদ, সাংবাদিক ও জনসংযোগ আধিকারিককে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। রাহুল গাঁধীকে সেখানে দেখা গেল প্রশাসন ও মিডিয়া পলিসি বিষয়ে কথা বলতে। বহু দিন পর রাহুলকে এত সক্রিয় দেখে উপস্থিত সকলেই খুব খুশি।

অরবিন্দের সাপমোচন

উদ্বিগ্ন: অরবিন্দ কেজরীবাল

দিল্লি বিধানসভায় সমস্যার শেষ নেই।

এত দিন বাঁদরের সমস্যা ছিল। নিরাপত্তাকর্মীদের চোখে ধুলো দিয়ে বানর সেনার দল বিধানসভায় ঢুকে পড়ছিল যখন তখন। উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সাহায্য নিয়ে, তাদের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে, বিধানসভায় লাঙ্গুর এনে বাঁদর তাড়িয়েছেন। কিন্তু এ বার আর এক নতুন উপদ্রব যোগ হয়েছে, সাপ। সেই বর্ষার সময় থেকেই উৎপাতের শুরু, কিন্তু এখন এই ভাদ্র মাস পড়ে যাওয়ার পরেও যখন তখন বিধানসভার মধ্যে ঢুকে পড়ছে লম্বা লম্বা সাপ। বিধায়কদের মধ্যে বিজেপির শুধু তিন জন বিধায়ক, বাকি সবাই আপ-এর। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী-সহ সকলেই শঙ্কিত। আপাতত সাপ তাড়াতে জোরকদমে নানা ধরনের ওষুধ, অ্যাসিড ব্যবহার করা হচ্ছে। তবু সাপেরা সন্ত্রস্ত নয়। অরবিন্দ এখন ব্যস্ত সাপমোচনে!

বন্ধুবিচ্ছেদ

জেডিইউ-তে শরদ যাদব এখন বিদ্রোহী। নীতীশ কুমার এনডিএতে যোগ দেওয়ায় দল ভেঙে বেরিয়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। এটা যে ঘটবে, আঁচ করে ফেলেছিলেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি। নীতীশের এনডিএ-তে অন্তর্ভুক্তির আগেই শরদ যাদবকে ফোন করে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন জেটলি। প্রতিশ্রুতি দেন, কৃষিমন্ত্রকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতর দেওয়া হবে তাঁকে। কিন্তু রাজি হননি শরদ। ফলে বিচ্ছেদের মুখে শরদ-নীতীশ।

জয়ন্ত ঘোষাল, অগ্নি রায়,
অনমিত্র সেনগুপ্ত

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE