গায়ক চণ্ডীদাস মাল-কে নিয়ে ‘অভিমান ভুলে গানেই আশ্রয়’ (২৪-২) প্রতিবেদনটি পড়লাম। সম্ভবত ১৯৮৮ সালে আমি তাঁকে পুনরাবিষ্কার করেছিলাম। আমার ‘একটি জীবন’ ছবিতে ব্যবহৃত একটি পুরাতনী গানের (শ্রীধর কথক রচিত ‘যে যাতনা যতনে...’ ) প্রয়োজনে এই শিল্পীকে প্রয়োজন ছিল। চণ্ডীদাস কালীপদ পাঠকের সাক্ষাৎ শিষ্য এবং ওই ঘরানার সম্ভবত শেষ শিল্পী। পুরাতনী গানে বৈঠকি চাল বর্জিত একটা দার্শনিক দিক আছে। আমি সেই ধরনের গানই চেয়েছিলাম। এ ছাড়াও এই গানে একটা দ্ব্যর্থবোধক শব্দের ব্যবহার আছে এবং চণ্ডীদাসের কণ্ঠে এই নিস্পৃহ দার্শনিক ভাব আমার ছবিতে একটা বিশেষ মাত্রা যুক্ত করবে বলে মনে হয়েছিল। ওই গান ব্যবহারের প্রয়োজনে আমি কয়েক বার ওঁর বাড়িতে যাতায়াত করেছি। ওই রকম সহজ, সরল, অবাণিজ্যিক মানসিকতার প্রকৃত শিল্পী আর কাউকে দেখিনি।
রাজা মিত্র
কলকাতা-১৯
ফাটলের খেলা
ঈশ্বর গুপ্ত বা কল্যাণী সেতুটিতে ফাটলের খেলা চলছে দীর্ঘ দু’বছরেরও বেশি এবং মাঝে মাঝেই ফাটলের কারণে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিতে হয়। ২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও ঠিক পরের দিনই সেতুর কল্যাণী প্রান্তের অংশ বসে যাওয়ায়, শুধু ভারী যান চলাচলই নয়, পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হয় সমস্ত রকম যান চলাচল সমেত মানুষ চলাচলও। ফলে তখন দুই জেলার অগণিত মানুষকে নিত্য কাজে গঙ্গার এ পার ও পার করতে হয় ফেরিতে, যা অর্থ ও সময়ের বিচারে ছিল অত্যন্ত দুর্বিষহ। এর পর মাস পাঁচেক বাদেই ২০১৭ সালের ১৪ মে সেতুটির প্রয়োজনীয় মেরামতের পর ভারী যানবাহন চলাচল শুরু হয়। কিন্তু পুনরায় ২০১৮-র ২৮ জানুয়ারিতে ফাটল ধরা পড়ায়, সেতুটি দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ভাবে বিগত দু’বছরে তিন বার ফাটলের কারণে ভারী যান চলাচল বারে বারে বন্ধ করে দিতে হয়। বার বার সেতুতে ফাটল ও মেরামতের কারণে বহু মানুষকে অশেষ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামান্য দূরত্বের পথ যেতে ঘুরপথে কয়েক গুণ বেশি টাকা ও সময় খরচ হচ্ছে।
তাপস সাহা
শেওড়াফুলি, হুগলি
নিকাশি
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দেশপ্রাণ ব্লকের অধীনে উত্তর আমতলিয়া গ্রাম সংসদে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর এবং কৃষকের অনুমতি ছাড়াই রায়ত জমির উপর দিয়ে একটি নিকাশি কাটা হয়েছে। ফলে কৃষি ও পরিবেশ উভয়েরই ক্ষতির সম্ভাবনা।
ভবশঙ্কর মণ্ডল
উত্তর আমতলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর
সেতু মেরামত
রানাঘাটের উপর দিয়ে বহমান চূর্ণী নদীর উপর দু’টি সেতুর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন, বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাও অসম্ভব নয়। কয়েক মাস আগে চূর্ণীর উপর ঝুলন্ত ব্রিজটি মেরামত করার কথা মাইকে ঘোষণা করে জনগণের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে খেয়া পারাপারের উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে অসংখ্য মানুষকে। সরকারি ভাবে প্রচার হয়েছিল, বর্তমান নকশার পরিবর্তন করে আমূল সংস্কারের মাধ্যমে বর্তমান ঝুলন্ত ব্রিজের খোলনলচেই পাল্টে ফেলা হবে। ব্রিজের কাজ শুরু না হওয়ায় মানুষের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হওয়ায় সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাদের টনক নড়ে, মেরামতির কাজ শুরু হয়। ব্রিজের পশ্চিম পার্শ্বে চলে লোহার কাঠামো তৈরির কাজ। তখন মানুষ আশ্বস্ত হন, এ বার হয়তো কাজটি দ্রুত সম্পন্ন হবে। লোহার কাঠামো নির্মাণের পর ঠিকাদার সংস্থার কর্মীদের আর দেখা মিলছে না।
দেবদর্শন বন্দ্যোপাধ্যায়
রানাঘাট, নদিয়া
জলকষ্ট
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মগরাহাট থানার অন্তর্গত মূলটী গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন মূলটী মৌজায় অবস্থিত জলের ট্যাঙ্ক থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বিস্তীর্ণ এলাকা মূলটী, গনকহাটী, বড়ত, কামদেবপুর, হোটর, মর্যাদা, বাণীবেড়িয়া, চাঁদপুর, জলধাপা বনসুন্দরিয়া প্রভৃতি গ্রামগুলিতে পরিস্রুত পানীয় জলের জোগান দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু এক বছরেরও বেশি হল চাঁদপুর, জলধাপা ও বনসুন্দরিয়া এই তিনটি গ্রামে জলের জোগান একেবারে বন্ধ আছে। অথচ এই চাঁদপুর গ্রাম জলট্যাঙ্ক থেকে মাত্র আধ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। এর প্রধান কারণ হল ধামুয়া সড়বেড়িয়া পাকা রাস্তায় চাঁদপুরের কাছে ওভারব্রিজ এবং ধামুয়া বলবলিয়া রোডে বনসুন্দরিয়া হাটের কাছে অবস্থিত দু’টি ওভারব্রিজ অত্যধিক উঁচু হওয়ার ফলে জলের জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এই তিনটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ খুবই জলকষ্টে আছেন। দু-একটি ছাড়া, অধিকাংশ নলকূপ থেকেই ঘোলা জল পড়ে। যা পানের অযোগ্য। আবার কিছু নলকূপে আর্সেনিক প্রমাণিত। পরিস্রুত পানীয় জলের অভাবে নানা রকম পেটের রোগ, আমাশয়, ডায়েরিয়া লেগেই আছে।
সুধাময় মণ্ডল
জলধাপা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
জবরদখল
শিল্প ও বন্দর শহর হলদিয়ার বাসুদেবপুরে প্রিয়ংবদা হাউজিং কমপ্লেক্সে পাঁচিল ঘেরা সীমানার মধ্যে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের ফাঁকা জমিগুলিতে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ বেআইনি ভাবে গ্যারাজ, গুদামঘর তৈরি করেছেন। অনেকে ওই সব ফাঁকা জমিগুলি বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে নিয়েছেন। প্রশাসনের ঔদাসীন্যে বেআইনি জবরদখলদারদের সমস্যা ক্রমশই বাড়ছে।
শ্যামল রায়
বাসুদেবপুর, হলদিয়া
অন্নপূর্ণা মন্দির
ব্যারাকপুরের অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন আছে, তার মধ্যে অন্যতম তালপুকুর, ব্যারাকপুর গাঁধীঘাটের কাছেই অবস্থিত মা অন্নপূর্ণা দেবীর মন্দির। যা রাসমণি ঘাটের (গঙ্গার ঘাট) উপর অবস্থিত। মন্দিরটি দক্ষিণেশ্বরের রানি রাসমণি প্রতিষ্ঠিত ভবতারিণী মন্দিরের একটি অবিকল সংস্করণ। এটি প্রতিষ্ঠা করেন রানি রাসমণির কনিষ্ঠা কন্যা জগদম্বা দেবী। এই মন্দিরে রামকৃষ্ণ কয়েক বার পদধূলি দিয়েছেন। মন্দিরে অন্নপূর্ণা দেবীর একটি অপূর্ব সুন্দর মূর্তি আছে আর মা নিত্য সেবাইতদের দ্বারা পূজিতা হন। এখন মন্দিরটির করুণ অবস্থা। দীর্ঘ দিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মন্দির, নাটমন্দির আর শিবমন্দিরগুলির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এ ছাড়া এই মন্দির সংলগ্ন কিছু স্থায়ী বসবাসকারী মন্দিরের ভিতরের পরিসর নোংরা করে রাখেন। যা সত্যই দৃষ্টিকটু। মন্দির দেখাশোনার জন্য কোনও ব্যক্তির অস্তিত্ব নজরে পড়ে না।
সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়
ব্যারাকপুর, উত্তর ২৪ পরগনা
আবেদন মূল্য
সাম্প্রতিক কালে ভারতীয় রেলে চাকরির জন্য আবেদন মূল্যের এক নতুন পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। কোনও চাকরিপ্রার্থীকে আবেদন মূল্য হিসেবে ফর্ম পূরণের জন্য অধিক মূল্য দিতে হচ্ছে। আবার তাতে বলা হচ্ছে, প্রার্থী যদি পরীক্ষায় বসেন, তা হলে সেই প্রার্থীর সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আবেদন মূল্যের নির্দিষ্ট অংশ ফেরত দেওয়া হবে। চাকরির এই প্রবল সঙ্কটের দিনে, যেখানে বেকারত্ব একটি জাতীয় সমস্যা হয়ে উঠেছে, সেখানে দাঁড়িয়ে অধিকাংশ গরিব প্রার্থীর পক্ষে সরকার নির্ধারিত আবেদন মূল্য দেওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই যদি ন্যূনতম মূল্যের বিনিময়ে চাকরির আবেদন প্রক্রিয়াটিকে চালানো যায়, হয়তো প্রকৃত মেধাবী এবং দরিদ্র চাকরিপ্রার্থীরা সুবিচার পেতে পারেন।
অমিত মণ্ডল
খড়দহ, উত্তর ২৪ পরগনা
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy