Advertisement
E-Paper

সম্পাদক সমীপেষু: শিশুদের সমস্যা

এ দিকে স্কুল নেই, বন্ধু নেই, কথা বলার জো নেই। এক ভয়ঙ্কর পরিবেশ।

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২০ ০১:২৬

বাচ্চাদের কোনও ধারণা নেই, করোনাভাইরাস কী? তবু তারা বড়দের আলোচনায় ও আতঙ্কিত মুখচোখ দেখে আন্দাজ করতে পারে, এটা একটা ভয়ানক কিছু। তাদের মধ্যে এখন কাজ করছে বন্দি থাকার আতঙ্ক, অসুস্থ হওয়ার আতঙ্ক। বাড়ির বাইরে একেবারেই যেতে পারছে না। তার পর আছে বাবা-মায়ের জবরদস্তি মাস্ক পরানোর হিড়িক। এ দিকে স্কুল নেই, বন্ধু নেই, কথা বলার জো নেই। এক ভয়ঙ্কর পরিবেশ। ওদের মানসিক সমস্যা দেখা দেবে। সে দিকে খেয়াল রাখা জরুরি।

সুজিত কুমার ভৌমিক

চণ্ডীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর

বেলা মিত্র

এ দেশে ভারতীয় কোনও নারীর নামাঙ্কিত প্রথম রেলস্টেশন ‘বেলানগর’ যাঁর স্মৃতিতে, সেই স্বাধীনতা সংগ্রামী বেলা মিত্র-র (রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের জননী) জন্মশতবর্ষ নিঃশব্দে আমাদের দোরগোড়ায় হাজির। তিনি জন্মেছিলেন ১৯২০ সালে, মাতুলালয়ে, ভাগলপুরে। তিনি নেতাজির ভাইঝি, সুরেশচন্দ্র বসুর মেয়ে। পিত্রালয় ২৪ পরগনার কোদালিয়ায়। ১৯৩৬-এ বিবাহ যশোরের হরিদাস মিত্রের সঙ্গে।

১৯৩৮-এ শ্বশুরবাড়িতে গড়ে তোলেন এক মহিলা সমিতি। ১৯৪০ সালে কংগ্রেসের রামগড় অধিবেশন থেকে বেরিয়ে এসে নেতাজি যখন আপস-বিরোধী সম্মেলনের ডাক দেন, বেলা তখন মাত্র ১৯ বছর বয়সে সেই সম্মেলনের মহিলা শাখার কমান্ডারের দায়িত্ব পান। ১৯৪৪-এর জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বেহালার এক ভাড়াবাড়ি থেকে ট্রান্সমিটার মারফত সিঙ্গাপুর ও রেঙ্গুনে নেতাজির সঙ্গে সংবাদ-বিনিময়ের ব্যবস্থাপনা এবং অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁর পাঠানো আজাদ হিন্দ ফৌজের লোকজনদের ওড়িশার কোনারক মন্দিরের কাছে নিরাপদে অবতরণের ব্যাপারে প্রভূত সহায়তা করেছেন মিত্রদম্পতি, জীবন বিপন্ন করে। বেলা দেবীকে এ জন্য নিজের সব গহনা বিক্রি করতে হয়।

১৯৪৫-এ হরিদাস মিত্র সমেত ২১ জন বন্দির ফাঁসির আদেশ হলে বেলা দেবী পুণেয় গিয়ে গাঁধীজির শরণাপন্ন হন এই আদেশ রদ করার ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার আর্জি নিয়ে। বেলাকে পরীক্ষা করার জন্য গাঁধীজি বলেন, শুধু হরিদাস মিত্রের জন্য তিনি চেষ্টা করতে পারেন। কেবলমাত্র স্বামীকে বাঁচানোর স্বার্থপর প্রস্তাব সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করেন বেলা দেবী। খুশি হন গাঁধীজি। অতঃপর ইংরেজ সরকারের সঙ্গে প্রবল পত্রযুদ্ধ চালিয়ে শেষ পর্যন্ত সকলের ফাঁসির সাজা যাবজ্জীবন দ্বীপান্তরে বদলে দিতে সক্ষম হন।

১৯৪৭-এর ফেব্রুয়ারিতে বেলা দেবী নেতাজির ঝাঁসি রেজিমেন্টের আদর্শে গঠন করেন ঝাঁসি রানি বাহিনী, সর্বাধিনায়িকা তিনিই। বাংলাদেশের কয়েকটি স্থানে গড়ে ওঠে এর শাখা।

স্বাধীনতা লাভের পর শিয়ালদহ স্টেশনে এবং অন্য কয়েকটি স্থানে শরণার্থীদের জন্য ত্রাণকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন বেলা। এ ছাড়া বেশ কিছু শরণার্থী পরিবারের বালি ও ডানকুনির মধ্যবর্তী অভয়নগর অঞ্চলে পুনর্বাসনের ব্যাপারে প্রাণপাত পরিশ্রম করেন। এ সব কাজের দরুন দ্রুত ভেঙে যেতে থাকে তাঁর শরীর। ১৯৫২-র ৩১ জুলাই মাত্র ৩২ বছর বয়সে জীবনাবসান হয় এই মহীয়সী মহিলার। ১৯৫৩-য় তাঁর স্মৃতিতে এলাকাটির নতুন নাম হয় বেলানগর। ১৯৫৮-য় নির্মিত হয় নতুন বেলানগর রেলস্টেশন।

দেশবাসী, বিশেষ করে তাঁর শেষ জীবনের কর্মক্ষেত্র হাওড়া-হুগলির মানুষ, তেমন করে মনে রাখেননি তাঁকে। আমাদের বিনীত প্রস্তাব: ওঁর জন্মশতবর্ষ উপযুক্ত মর্যাদায় পালিত হোক সরকারি এবং বিভিন্ন বেসরকারি উদ্যোগে। এবং বালির জিটি রোড থেকে বিবেকানন্দ সেতুতে ওঠার মুখে হাওড়া-হুগলি-উত্তর ২৪ পরগনার প্রায় সংযোগস্থলে অবস্থিত গোলাকার চত্বরটিতে বেলা দেবীর মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হোক।

বিশ্বনাথ দাস

হাজরাপাড়া লেন, বালি

কুসংস্কার

আমি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের ঢেঙ্গাশোল গ্রামের বাসিন্দা। আমাদের গ্রামে করোনাভাইরাসকে নিয়ে একটা কুসংস্কার ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষ বলছে, ঝাড়েশ্বরের শিব ঠাকুর নাকি স্বপ্নে বলেছেন যে, স্নান করে গঙ্গাজল গায়ে ছিটিয়ে নেওয়ার পর একটু গোবর দিয়ে তুলসীতলা পরিষ্কার করে মাটি খুঁড়লে কয়লা পাওয়া যাবে। সেই কয়লার টিপ কপালে নিলে করোনাভাইরাস আর ছুঁতে পারবে না। খবর নিয়ে দেখলাম এই ব্যাপারটা আশেপাশের সব গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। আমার গ্রাম থেকে ৩০ কিমি দূরের এক গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপারটা। গ্রামের মানুষ সাবান দিয়ে হাতে ধুচ্ছেন না ভাল করে। সচেতন হচ্ছেন না। তার বদলে কয়লার টিপ নিয়ে নির্ভয়ে আছেন যে আর করোনাভাইরাস তাঁদের ছুঁতে পারবে না। যে বা যারা এই ভাবে কুসংস্কার ছড়িয়ে দিচ্ছে, তাদের যোগ্য শাস্তি হওয়া দরকার। আর সরকারি ভাবে গ্রামে গ্রামে মাইক নিয়ে প্রচার করা উচিত।

সাগর মাহাত

ঢেঙ্গাশোল, পশ্চিম মেদিনীপুর

সাবওয়ে

অবশেষে রেলের হাওড়া মেন শাখার বালি স্টেশনে কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটার পর রেল লাইনের ধারে লোহার ব্যারিকেড করা হয়েছে,
যার জন্য রেল কর্তৃপক্ষের ধন্যবাদ প্রাপ্য। কিন্তু বিভিন্ন উপায়ে রেল কর্তৃপক্ষকে পাশেই সাবওয়েটি সংস্কার করার কথা বলা হলেও, কোনও কর্ণপাত করেননি। আগামী বর্ষায় প্রায়ই সাবওয়েটি বৃষ্টি কিংবা গঙ্গার জোয়ারের জলে ভর্তি থাকবে এবং বিকল্প বেআইনি রাস্তাটি বন্ধ হওয়ার ফলে সিঁড়ি ছাড়া গত্যন্তর থাকবে না। একসঙ্গে কয়েকটি ট্রেন চলে এলে প্যাসেঞ্জারদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যেতে বাধ্য এবং দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

অশোক দাশ

রিষড়া, হুগলি

টাকা কাটা হল

আমার বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরে। কলকাতায় এসেছি পারিবারিক কাজে। ২১ মার্চ, ২০২০ আমার ফেরার টিকিট কাটা ছিল রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে। কিন্তু ২২ মার্চ ছিল জনতা কার্ফু। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ট্রেনের টিকিট বাতিল করলাম। টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট বাতিলের পুরো টাকা কেটে নিল। আমার মতো আরও অনেকেই দেখলাম টিকিট বাতিল করছেন করোনার কারণে। প্রশ্ন হল, রেল দফতর কেন টিকিট বাতিলের টাকা পুরোটাই কাটবে? দেশের প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিচ্ছেন যাত্রী, আর পুরো টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে, এ কেমন কথা?

স্বপন মজুমদার

রায়গঞ্জ, উত্তর দিনাজপুর

একটা ধন্দ

প্রথমেই রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাই, অসামান্য ও মানবদরদি কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। পাশাপাশি প্রান্তিক অঞ্চলের খুদে পড়ুয়া, যাদের পুষ্টির একমাত্র উৎস মিড-ডে মিল, তাদের কথা মাথায় রেখে সোমবার থেকে বিদ্যালয়গুলিতেও ছাত্র পিছু দু’কেজি চাল ও আলু বিতরণের নির্দেশ এসেছে। প্রশংসনীয় উদ্যোগ। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে, যখন সরকার ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন যে কোনও সভা, সমিতি, সমাবেশে যোগ দিতে বারণ করছেন, যে কোনও জমায়েত থেকে দূরে থাকতে বলছেন, তখন পড়ুয়াদের অভিভাবকদের ডেকে বিদ্যালয়ে আলু বিতরণ কতটা যুক্তিযুক্ত? শিক্ষকদের নিরাপত্তা কোথায়? তা ছাড়া কিছু অভিভাবক তো থাকতেই পারেন, যাঁরা ভিনরাজ্য থেকে সবেমাত্র ফিরেছেন। তাঁরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছেন কি না, সেটা তো অজানাই থেকে যাবে। তাঁদের কেউ কেউ তো করোনাভাইরাসের বাহক হতেই পারেন।

সূর্যতনয় অধিকারী

উত্তর জিঞাদা, পূর্ব মেদিনীপুর

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

Coronavirus Health
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy