ইতিহাস শিক্ষিকার পরামর্শ। প্রতীকী ছবি।
২০২৩-এর মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রায় চলেই এসেছে। হাতে আর একেবারেই সময় নেই বললেই চলে। এই সময় ইতিহাস বিষয়ের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি কী ভাবে নেওয়া প্রয়োজন, প্রশ্নপত্রের কোন দিকগুলি বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে, সেই সব বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন গড়িয়া হরিমতী দেবী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিষয়ের শিক্ষিকা প্রীতিলতা ঘোষ পাল।
শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি:
২০২২ সালের ইতিহাস পরীক্ষাতে ষষ্ঠ, সপ্তম এবং অষ্টম অধ্যায়ের পরীক্ষা হয়নি। তাই, এই তিনটি অধ্যায় নিখুঁত ভাবে পড়া প্রয়োজন।
সাধারণত, প্রথম এবং অষ্টম অধ্যায় থেকে ৮ নম্বরের কোনও প্রশ্ন থাকে না। তাই, যে ছ’টি অধ্যায় বাকি থাকল, তার মধ্যে ষষ্ঠ এবং সপ্তম অধ্যায় থেকে ’২২-এ পরীক্ষা হয়নি। অর্থাৎ এই দু’টি অধ্যায় থেকে ৮ নম্বরের প্রশ্ন আসার খুবই সম্ভাবনা রয়েছে। একই ভাবে অষ্টম অধ্যায় থেকে ৪ নম্বরের প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা বেশি।
বিগত কয়েক বছর ধরেই ইতিহাসের প্রশ্ন ঘুরিয়ে আসছে, তাই টেস্ট পেপার থেকে দেখে নিতে হবে একই প্রশ্ন কত রকম ভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আসতে পারে।
সাল তারিখ মনে রাখার জন্য সমসাময়িক অন্য ঘটনা মনে রাখলে সুবিধা হবে শিক্ষার্থীদের।
বিগত বছরের প্রশ্নপত্র থেকে ভাল করে ইতিহাসে উপবিভাগের ভাগটি দেখে নেওয়া প্রয়োজন।
সময় বিভাজন:
কোন প্রশ্নে কতটা সময় দিলে সব প্রশ্নের উত্তর সময়ের মধ্যে লেখা যাবে সেই বিষয়গুলি দেখে নেওয়া ভাল।
ক বিভাগে ২০টি এমসিকিউ প্রশ্ন থাকে। ১৫ মিনিটের মধ্যে শেষ করে দেওয়া ভাল।
খ বিভাগে ৫টি উপবিভাগ মিলিয়ে ২০টি প্রশ্ন থাকে। ১৬টি করতে হয়। এখানে দু’টি বাড়তি করার চেষ্টা করা ভাল। ২৫ মিনিট সময় বরাদ্দ রাখা ভাল।
গ বিভাগে ১৬টি প্রশ্নের মধ্যে ১১টি করতে হয়, চেষ্টা করবো দু’টি বাড়তি করার। ৪০ মিনিট সময় রাখা ভাল।
ঘ বিভাগে দু’টি উপবিভাগে মোট ৮টি প্রশ্ন থাকে, ৬টি করতে হয়। এখানে ১ ঘণ্টা ৫ মিনিট সময় নেওয়া ভাল।
ঙ বিভাগে ৩টি প্রশ্নের মধ্যে ১টি করতে হয়। ২০ মিনিটের মধ্যে শেষ করা ভাল।
তা হলে, বাকি ১৫ মিনিট থাকবে। সেই সময় ভাল করে উত্তর মিলিয়ে নেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি, গুরুত্বপূর্ণ কোনও বিষয়ে এড়িয়ে না যেতে হয়, সেই দিকগুলিও এই সময়ের মধ্যে দেখে নেওয়া ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy