আদালতের পথে অনুজ পাণ্ডে। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
নেতাই-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুজ পাণ্ডেকে বৃহস্পতিবার চার দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় ঝাড়গ্রাম সিজেএম আদালত। এ দিন সকালে তাঁকে আদালতে তোলা হলে এই নির্দেশ দেন বিচারক কৃষ্ণ মুরারী প্রসাদগুপ্ত। ঘটনার মূল তদন্তকারী সিবিআই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করলেও এ দিন সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে আইনজীবী অরুণকুমার ভগত এ দিন আদালতে বলেন, ‘‘অনুজ নেতাই মামলার মূল অভিযুক্ত। এত দিন সে ফেরার ছিল। তাই এই কাণ্ডে আরও কেউ জড়িত ছিল কি না জানতে অনুজকে জেরা করার প্রয়োজন।’’ অন্য দিকে, অভিযুক্তের আইনজীবী রঘুনাথ ভট্টাচার্য জানান, নেতাই কাণ্ডের তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে ২০১১-র এপ্রিল মাসেই এই মামলার চার্জশিট আদালতে পেশ করা হয়। এর পরে এই মামলার বিচার শুরু হয় মেদিনীপুর দায়রা আদালতে। বিপক্ষের দাবির বিরোধিতা করে এ দিন তিনি বলেন, “যেহেতু নেতাই মামলার চার্জশিট আগেই জমা পড়ে গিয়েছে, সুতরাং আমার মক্কেলকে আর জেরা করার প্রয়োজন নেই। তাঁকে বিচারপ্রক্রিয়ার সুযোগ দেওয়া হোক।” আগামী ১২ মে ফের তাকে আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেন বিচারক। তবে সিবিআই চাইলে জেল হেফাজতে থাকাকালীন অনুজকে জেরা করতে পারবে বলে জানান তিনি। এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুজের ভাই উজ্জ্বল পাণ্ডে বলেন, “আমার ভাই চক্রান্তের শিকার। তবে সত্য একদিন উদঘাটিত হবেই।”
এ দিন সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ ভবানীভবন থেকে পুলিশ ভ্যানে অনুজকে আদালতে আনা হয়। নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ৬৪ জন পুলিশকর্মী। গোটা আদালত চত্বর জুড়েও এ দিন ছিল কড়া নিরাপত্তা। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলার চন্দ্রপুরা থেকে গ্রেফতার করা হয় বিনপুর জোনাল কমিটির সদস্য অনুজ পাণ্ডেকে। বুধবার তাঁকে তোলা বর্ধমান আদালতে। এর আগে গত ২৮ এপ্রিল হায়দরাবাদ থেকে নেতাই-কাণ্ডে অভিযুক্ত পাঁচ সিপিএম নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে সিআইডি। ধৃতদের মধ্যে ছিলেন সিপিএমের ধরমপুর লোকাল কমিটির সম্পাদক ডালিম পাণ্ডে, লালগড় লোকাল সম্পাদক জয়দেব গিরি, বিনপুর জোনাল সদস্য খলিলুদ্দিন, লালগড় লোকাল কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক তপন দে ও দলীয় কর্মী রথীন দণ্ডপাট। তাঁরা এখন জেল হেফাজতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy