সুস্থ থাকার জন্য চিকিত্সকরা ডায়েটে ফাইবার রাখার কথা বলে থাকেন। আবার ওজন কমানোর জন্য ডায়েটে ফাইবারের উপকারিতার কথাও ডায়েটিশিয়ানদের মুখে শোনা যায়। ফাইবার ডায়েটের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফাইবার ৩৫।
কী এই ফাইবার ৩৫?
হেলথকেয়ার এক্সপার্ট ব্রেন্ডা ওয়াটসন এই ডায়েট তৈরি করেন। এই ডায়েটে প্রতি দিন ৩৫ গ্রাম করে ফাইবার খাওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে।
অনেক বিশেষজ্ঞরাই বলে থাকেন যারা নিয়মিত ফাইবার সমৃদ্ধ ডায়েট মেনে চলেন তারা সহজে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে পারেন। অর্থাত্, যত বেশি ফাইবার ডায়েটে রাখবেন ততই ওজন কমানো সহজ হবে। কারণ ফাইবার যে শুধু মস্তিষ্ককে ওজন কমানোর ব্যাপারে সচেতনই করে না, সেই সঙ্গে মেটাবলিজম প্রক্রিয়া ধীর করিয়ে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
এই ডায়েটে রোজ ৩৫ গ্রাম ফাইবার খাওয়ার পাশাপাশি রোজ ক্যালরির পরিমাণ ১২০০-র মধ্যে রাখতে হয়। যে কারণে পেট ভরে না খেয়ে দিন ৬ বার অল্প অল্প করে খাওয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গেই চাই মেটাবলিক বুস্টার। যেমন প্রচুর জল খাওয়া, কার্ডিও এক্সারসাইজ ও ৮ ঘণ্টার ঘুম।
কোন ধরনের খাবার খেতে হবে?
প্রচুর পরিমাণ শাক-সব্জি, বিনস, বাদাম ও গোটা শস্য, ফল খান। মনে রাখবেন ফল ও সব্জির মধ্যে থাকা ফাইবারের বেশির ভাগটাই সঞ্চিত থাকে বীজ ও খোসায়। তাই খোসা ছাড়ানো কলার থেকে খোসা সমেত আপেলে ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। রাসপবেরি ও অ্যাভোকাডোর মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। ১ কাপ রাসপবেরিতে ফাইবারের পরিমাণ ১৪ গ্রাম। স্ট্রবেরি ও ব্লুবেরিতেও ভাল পরিমাণ ফাইবার থাকে।
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস থাকলে ঠিক কতটা মদ্যপান করবেন, জেনে নিন
ফাইবার সমৃদ্ধ ডায়েটের সঙ্গে অন্তত ৮ গ্লাস জল খাওয়া উচিত। যাতে হজম না হওয়া ফাইবার সহজে শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে পারে। এ ছা়ড়াও জল সলিউবল ফাইবার জেলে পরিণত করে। যা শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা কমিয়ে ফ্যাট জমতে বাধা দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy