কয়েক দিন চুপচাপ থাকার পর ফের দুষ্কৃতী তাণ্ডবে উত্তপ্ত পাড়ুই। এ বারের ঘটনাস্থল পাড়ুই থানার মঙ্গলডিহি পঞ্চায়েতের ছাতিরবাদি গ্রাম। শুক্রবার রাতভর এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে লুঠপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। চলে বোমাবাজিও। গোটা ঘটনাটিতেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বাসিন্দারা।
কেন এই ঘটনা ঘটল?
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। দলীয় সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। এক জনের রান্নাঘরে অাগুন লাগিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তাদের দাবি, আগামী রবিবার অমিত শাহের সভায় যেতে না দেওয়ার জন্যই তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও তাদের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গোটা এলাকায় এই তাণ্ডব চালিয়েছে। ওই গ্রামের মসজিদপাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ নূর আলি বলেন, “শুক্রবার দুর্গাপুরে মমতার সভা থেকে ফিরে শাসক দলের লোকজন ও তাদের আশ্রিত বহিরাগত দুষ্কৃতীরা আমাদের কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে চড়াও হয়। রাতভর ভাঙচুর ও লুঠপাট চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। গোটা বিষয়টি জানিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।”
পাশাপাশি, বিজেপির এই অভিযোগকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা অভিযোগ করেছে তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনার জন্য দায়ী। তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মহবা বিবি বলেন, “রাতভর আমাদের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা।” তৃণমূলের অভিযোগ, মিনা বিবি নামে তাদের এক কর্মীকে মারধরও করা হয়েছে।
পরিবর্তনের সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৩-য় রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে খুন হয়েছিলেন সাগর ঘোষ। সেই শুরু। তার পর একের পর এক ঘটনায় রক্তাক্ত হয়েছে বীরভূমের এই থানা এলাকার বিভিন্ন গ্রাম। কখনও চৌমণ্ডলপুর তো কখনও মাখড়া। কখনও ইমাদপুর তো কখনও বা সিরশিট্টা। এ বার ছাতিরবাদি। দখল এবং পুনর্দখলের সংঘর্ষে কার্যত হিংসার মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে পাড়ুই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy