দিল্লির রাজনৈতিক সঙ্কট কাটাতে একক বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসাবে বিজেপিকে সরকার গড়ার প্রস্তাব দিতে চলেছেন উপরাজ্যপাল নাজিব জঙ্গ। এই বিষয়ে অনুমতি চেয়ে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীবালের ইস্তফা দেওয়ার পর প্রায় সাত মাস খালি দিল্লির মসনদ। বিধান সভা বরখাস্ত করে নতুন করে ভোট নেওয়ার জন্য লেফ্টেন্যান্ট গভর্নরকে ‘পরামর্শ’ দেয় ৪৯ দিনের আপ সরকারের মন্ত্রী এবং বিধায়করা। নতুন করে ভোটের সুপারিশ করে কংগ্রেসও। কিন্তু কংগ্রেস-আপের আবেদন অগ্রাহ্য করে বিধান সভা বরখাস্ত করেননি নাজিব জঙ্গ। ফলে ১৭ ফেব্রুয়ারির পর থেকে দেশের রাজধানীতে চলছে রাষ্ট্রপতির শাসন।
৭০ আসনের দিল্লি বিধান সভায় প্রথম বার লড়াই করে আম আদমি পার্টি পায় ২৮টি আসন। একক বৃহত্তম দল হিসাবে বিজেপি ৩১টি আসন পেলেও সরকার গঠনের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। কংগ্রেসের আট বিধায়ক বাইরে থেকে সমর্থন করায় সরকার গঠন করে আপ। কিন্তু জন লোকপাল বিল পাশ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ৪৯ দিনের মাথায় ইস্তফা দেয় কেজরিবাল-সহ আপ সরকার। এরপর থেকেই শুরু দিল্লির রাজনৈতিক সঙ্কট। কয়েক দিন আগেও উপ রাজ্যপালকে কোনও ‘অসাংবিধানিক পদক্ষেপ’ করতে নিষেধ করে আপ ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। বিজেপি-কে সরকার গড়ার সুযোগ দিলে বিধায়ক কেনাবেচা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করে দুই দল। মোট আসন সংখ্যা ৭০ হলেও হর্ষবর্ধন, রমেশ বিধুরি এবং পারবেশ বর্মা লোকসভার ভোটে জেতায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। ফলে এই মুহূর্তে ৬৭ আসনের দিল্লি বিধান সভায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ২৮। সরকার গড়তে আরও ছ’জনের সমর্থন দরকার তাদের। তবে বিজেপি সূত্রে খবর, এখনই ভোটে যেতে রাজি নয় দল। ফলে সরকার গড়ার প্রস্তাব এলে তাতে রাজি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সে ক্ষেত্রে বাকি ছ’জনের সমর্থন তারা কোথা থেকে যোগাড় করে সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy