Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

শিলিগুড়িতে ছড়াচ্ছে ডেঙ্গি, আতঙ্কও

শিলিগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গি। সঙ্গে দোসর এনসেফ্যালাইটিস ও কালাজ্বর। শহর ছাড়িয়ে বাগডোগরা, মাটিগাড়া, ফাঁসিদেওয়া, খড়িবাড়ি প্রভৃতি এলাকাতেও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। বৃহস্পতিবার সকালে খড়িবাড়ি এলাকায় ঘুরে মশা, মশার লার্ভার নমুনা সংগ্রহ করেন কলকাতা থেকে আসা পতঙ্গবিদেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৪ ২০:২৬
Share: Save:

শিলিগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গি। সঙ্গে দোসর এনসেফ্যালাইটিস ও কালাজ্বর। শহর ছাড়িয়ে বাগডোগরা, মাটিগাড়া, ফাঁসিদেওয়া, খড়িবাড়ি প্রভৃতি এলাকাতেও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। বৃহস্পতিবার সকালে খড়িবাড়ি এলাকায় ঘুরে মশা, মশার লার্ভার নমুনা সংগ্রহ করেন কলকাতা থেকে আসা পতঙ্গবিদেরা। কালাজ্বর প্রবণ ওই এলাকায় সম্প্রতি জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। বুধবার বাগডোগরা, মাটিগাড়ার মতো বিভিন্ন এলাকা ঘুরে নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। তবে ওই সব এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা স্পষ্ট করে কিছু জানাননি পতঙ্গবিদরা। এরই পাশাপাশি, এ দিন বিকেলের দিকে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির জেলা সভাপতি রথীন্দ্র বসু বলেন, “শহর ক্রমশ ডেঙ্গিপ্রবণ হয়ে উঠছে। শহরে এখন কার্নিভালের সময় নয়। মানুষের প্রাণ উত্সবের থেকে অনেক বড়।” শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে আগামী রবিবার থেকে বিজেপি ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’-এ নামবে বলে জানান তিনি।

গত শনিবারের পর থেকে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে কারও মৃত্যু না-হলেও আক্রান্তের সংখ্যা যে বেড়েই চলেছে, স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টেই তা স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুসারে, গত ১০ দিনে নতুন করে অন্তত ৩০ জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। দিন দশেক আগে জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছিল শুধু অক্টোবর মাসে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ জন। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৬। গত সোমবার পর্যন্ত পাওয়া হিসেবে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২। নভেম্বরের ১ থেকে ৫ তারিখ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে পুর এলাকার ১২টি ওয়ার্ডকে ডেঙ্গিপ্রবণ বলে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য দফতর। তবে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কথায় অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যার যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছিল তা ঠিক নয়। তবে সবিস্তার রিপোর্ট এলেই এই বিষয়ে সঠিক ভাবে জানানো যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত বিশ্বাস বলেন, “আমাদের কাছে যা রিপোর্ট আছে তাতে দেখা যাচ্ছে শেষ সপ্তাহে ডেঙ্গির প্রকোপ কিছুটা কমেছে। তবে রিপোর্ট এলেই সব বোঝা যাবে।”

ইতিমধ্যেই শহরে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার সকালে খালপাড়ার একটি নার্সিংহোমে ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে ভর্তি ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষপাড়ার বাসিন্দা অনিমা শেঠ নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়। এ ছাড়া শিলিগুড়ির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গানগর এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় খাতি নামে এক কিশোর এনসেফ্যালাইটিস এবং ডেঙ্গির সংক্রমণ নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। পরে সেও মারা যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE