Advertisement
১১ মে ২০২৪

রাজীব হত্যায় যাবজ্জীবন তিন জনের

ঘটনার চার বছর পূর্তি হবে শনিবার! তার আগের দিন রাজীব দাস হত্যা-কাণ্ডে তিন অভিযুক্তের যাবজ্জীবন সাজা শোনাল আদালত। শুক্রবার বেলা একটা নাগাদ এই রায় দেন বারাসতের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক প্রবীরকুমার মিশ্র। আদালতের এই রায়ে খুশি নিহত রাজীবের পরিবার। সাজাপ্রাপ্তরা যদিও এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবে বলে জানিয়েছে।

বারাসত আদালতে  দোষীরা— মিঠুন দাস, বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, মনোজিৎ বিশ্বাস।

বারাসত আদালতে দোষীরা— মিঠুন দাস, বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, মনোজিৎ বিশ্বাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৮:০৪
Share: Save:

ঘটনার চার বছর পূর্তি হবে শনিবার! তার আগের দিন রাজীব দাস হত্যা-কাণ্ডে তিন অভিযুক্তের যাবজ্জীবন সাজা শোনাল আদালত। শুক্রবার বেলা একটা নাগাদ এই রায় দেন বারাসতের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক প্রবীরকুমার মিশ্র। আদালতের এই রায়ে খুশি নিহত রাজীবের পরিবার। সাজাপ্রাপ্তরা যদিও এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবে বলে জানিয়েছে।

রাজীব খুনে অভিযুক্ত মিঠুন দাস, বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং মনোজিৎ বিশ্বাসকে বৃহস্পতিবারই দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। তাদের অপরাধের শাস্তি হিসেবে বিচারক ফাঁসি নয় তো যাবজ্জীবন কারাবাসের কথা বলেছিলেন। এ দিন তাঁর সাজা ঘোষণার কথা ছিল। দুপুর একটা নাগাদ আদালত দোষীদের যাবজ্জীবনের সাজা ঘোষণা করে। যা শোনার পর নিহত রাজীবের দিদি রিঙ্কু দাস বলেন, “ফাঁসি হলে খুশি হতাম। যাবজ্জীবন হওয়ায় ভাইয়ের আত্মা কিছুটা হলেও শান্তি পাবে।” পাশাপাশি রাজীবের পরিবারের আর্জি, জেল থেকে দোষীরা যেন কোনও মতেই বেরোতে না পারে!

এ দিন সকাল ১০টার মধ্যেই রাজীবের পরিবারের লোকজন আদালতে চলে আসেন। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে হাজির করা হয় দোষী তিন জনকে। আদালত চত্বরে তত ক্ষণে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন উৎসাহী জনতা। ভিড়ে ঠাসা আদালতে বেলা সওয়া ১১টা নাগাদ আসেন বিচারক মিশ্র। দোষীদের কিছু বলার আছে কিনা জিজ্ঞাসা করেন তিনি। জবাবে তিন জনই জানায়, তারা নির্দোষ।

এর পর সরকারি কৌঁসুলি শান্তময় বসু বিচারককে জানান, রাজীব দাসকে তাঁর দিদির সামনে যে ভাবে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে, সেটি বিরলতম ঘটনা। দোষীদের ফাঁসির শাস্তি দাবি করেন তিনি। যদিও অভিযুক্তদের আইনজীবী নিমাই রায় আদালতকে বলেন, “আবেগের আন্দোলন দিয়ে বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” পাশাপাশি তিনি বিচারককে জানান, আদালত যেন পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণের উপর ভরসা রাখে। এর পর বিচারক মিশ্র বেলা একটা-র সময় রায় জানানো হবে বলে এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান।

বেলা একটা চার। ভরা আদালতে দোষীদের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক মিশ্র। খুশিতে ফেটে পড়ে গোটা আদালত চত্বর। যদিও দোষী তিন জনই জানিয়েছে তারা নির্দোষ। আদালত ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার আগে তাদের এক জন বলে, “আমাদের ফাঁসানো হয়েছে। আমরা নির্দোষ।” কে ফাঁসাল? জবাব আসে, “সিআইডি এবং রিঙ্কু দাস ফাঁসিয়েছে। ঘটনার দিন আমরা ওখানে ছিলাম না। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

rajib ghosh murder life imprisonment
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE