মে মাসের মাঝামাঝি টিটাগড় স্টেশনে চলন্ত ট্রেনে বোমা ফেটে এক যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনার পরেও এতটুকু পাল্টায়নি রেলের যাত্রী নিরাপত্তা। শনিবার রাতে ফের শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় শিয়ালদহ থেকে বজবজগামী রাতের লোকালে মহিলা কামরায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। দুষ্কৃতীরা মহিলা কামরায় উঠে ২-৩ জন মহিলাকে মারধর করে তাদের জিনিসপত্র ছিনতাই করে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ।
টিটাগড়ের ঘটনার পর পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার আর কে গুপ্ত জানিয়েছিলেন, রাতের ট্রেনগুলিতে বিশেষ করে মহিলা কামরায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেনারেল ম্যানেজারের ওই বক্তব্য কার্যত শুধু যে বক্তব্যই রয়ে গিয়েছে বজবজের ঘটনাটিই তার প্রমাণ। কারণ মহিলা কামরায় জিআরপি বা আরপিএফের কোনও প্রহরাই ছিল না বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় ও রেল সূত্রে খবর, বজবজগামী লোকাল ট্রেনটি রাত সওয়া ন’টা নাগাদ শিয়ালদহ থেকে ছেড়েছিল। ট্রেনটি যখন চলতে শুরু করে তখন দুই যুবক লাফ দিয়ে চলন্ত অবস্থায় মহিলা কামরায় উঠে পড়ে। কামরায় উঠেই তারা মহিলাদের উপর চড়াও হয়। নিগৃহীতা মহিলাযাত্রী তনুশ্রী কর জানান, ওই দুই দুষ্কৃতী ভয় দেখিয়ে তাঁর কাছে থেকে টাকাভর্তি ব্যাগ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। সহযাত্রীকে নিগৃহীত হতে দেখে পাশে বসে থাকা আর এক মহিলা প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, তখন অন্য দুষ্কৃতী প্রতিবাদী ওই মহিলার গালে চড় মেরে তাঁর কানের দুল ছিনিয়ে নেয়।
ইতিমধ্যে ট্রেনটি যখন গতি কমিয়ে পার্ক সার্কাস স্টেশনে ঢুকতে শুরু করে তখন দুই দুষ্কৃতী চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়। নিগৃহীত দুই মহিলা এরপর বজবজ স্টেশনে গিয়ে হইচই শুরু করেন। পরে শিয়ালদহ জিআরপির কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
শিয়ালদহ রেল পুলিশ সুপার দেবাশিস বেজ বলেন, ‘‘রবিবার দুপুরেই লিখিত অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পরই আমরা তদন্ত শুরু করি। ছিনতাইয়ের ঘটনায় অজয় মল্লিক ও ছোট্টু মণ্ডল নামে দুই যুবককে রবিবার বিকেল ৫-৪৫মিনিট নাগাদ গ্রেফতার করা হয়েছে। অজয় যাদবপুর ও ছোট্টু ঘুটিয়ারি শরিফের বাসিন্দা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy